ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে ৭৫টি প্রশ্ন ও উত্তর
১.কারেন্ট কী?
পরিবাহী পদার্থের মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ যখন একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হয়, তখন সেটাকেই কারেন্ট বলা হয়। এটি I বা i দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এর একক অ্যাম্পিয়ার (A)।
২. ভোল্টেজ কী?
মুক্ত ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপ প্রয়োজন, তাকে ভোল্টেজ বলা হয়। এটি V দ্বারা প্রকাশিত হয়, এর একক ভোল্ট।
3. রেজিস্ট্যান্স কী?
কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে বৈশিষ্ট্যটি কারেন্টকে বাধা দেয়, তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে। প্রতীক R এবং একক ওহম (Ω)।
4. ট্রান্সফরমার কী?
ট্রান্সফরমার একটি ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র, যা বিদ্যুৎকে এক ভোল্টেজ থেকে অন্য ভোল্টেজে রূপান্তর করে। এটি ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন নীতিতে কাজ করে এবং এতে কোনো চলমান অংশ নেই।
5. ট্রান্সফরমেশন রেশিও কী?
ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি কয়েলের প্যাঁচের অনুপাতকে ট্রান্সফরমেশন রেশিও বলা হয়। এটি a = Ep/Es = Np/Ns = Is/Ip দ্বারা প্রকাশিত হয়।
6. ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার কী?
CT (Current Transformer) ও PT (Potential Transformer) সার্কিটের কারেন্ট ও ভোল্টেজ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। একে ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার বলা হয়।
7. সার্কিট ব্রেকার কী?
সার্কিট ব্রেকার হলো বৈদ্যুতিক সুইচিং ডিভাইস, যা ওভারলোড বা শর্ট সার্কিটের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্কিটকে বিচ্ছিন্ন করে।
8. আইসোলেটর কী?
সাবস্টেশনের যন্ত্রপাতি নো-লোড অবস্থায় বিচ্ছিন্ন করতে আইসোলেটর ব্যবহার করা হয়। এটি একটি সুইচ যা অফলাইনে কাজ করে।
9. সাব-স্টেশন কী?
সাব-স্টেশন হলো বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, যেখানে ভোল্টেজ ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা হয়।
10. পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC) কী?
পাওয়ার লাইনের মাধ্যমে টেলিফোনের জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার বলা হয়।
11. Q-ফ্যাক্টর কী?
AC সার্কিটে রেজোন্যান্সের সময় ভোল্টেজ বৃদ্ধি পাওয়াকে Q-ফ্যাক্টর বলা হয়।
12. পাওয়ার ফ্যাক্টর কী?
পাওয়ার ফ্যাক্টর হল ব্যবহারযোগ্য পাওয়ার এবং অ্যাপারেন্ট পাওয়ারের অনুপাত। এটি cosθ দ্বারা প্রকাশিত হয়।
13. লোড ফ্যাক্টর কী?
গড় লোড এবং সর্বোচ্চ চাহিদার অনুপাতকে লোড ফ্যাক্টর বলা হয়।
14. প্লান্ট ফ্যাক্টর কী?
গড় লোড এবং প্লান্টের রেটেড ক্যাপাসিটির অনুপাতকে প্লান্ট ফ্যাক্টর বলা হয়।
15. ডিমান্ড ফ্যাক্টর কী?
সর্বোচ্চ চাহিদা এবং সংযুক্ত লোডের অনুপাতকে ডিমান্ড ফ্যাক্টর বলে।
16. ফরম ফ্যাক্টর কী?
RMS মান এবং গড় মানের অনুপাতকে ফরম ফ্যাক্টর বলা হয়, এর মান 1.11।
17. পিক ফ্যাক্টর কী?
সর্বোচ্চ মান এবং RMS মানের অনুপাতকে পিক ফ্যাক্টর বলা হয়, এর মান 1.41।
18. স্কিন ইফেক্ট কী?
AC কারেন্ট পরিবাহীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত না হয়ে তার বাহির দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার প্রবণতাকে স্কিন ইফেক্ট বলা হয়।
19. করুনোনা ইফেক্ট কী?
উচ্চ ভোল্টেজ প্রয়োগের সময় পরিবাহী কন্ডাক্টরের চারপাশে বেগুনী আলোর সৃষ্টি এবং গ্যাসের উৎপত্তি হলে তাকে করুনোনা ইফেক্ট বলে।
20. প্রক্সিমিটি ইফেক্ট কী?
দুই বিপরীতমুখী কারেন্ট প্রবাহিত হলে নিকটবর্তী অংশে কারেন্ট ডেনসিটি বেড়ে যাওয়াকে প্রক্সিমিটি ইফেক্ট বলে।
21. ফ্যারান্টি ইফেক্ট কী?
লোডশূন্য অবস্থায় ট্রান্সমিশন লাইনের গ্রহণ প্রান্তে প্রেরণ প্রান্তের তুলনায় বেশি ভোল্টেজ দেখা গেলে তাকে ফ্যারান্টি ইফেক্ট বলে।
22. অটো ট্রান্সফরমার কী?
একটি বিশেষ ট্রান্সফরমার যেখানে কেবল একটি ওয়াইন্ডিং থাকে, এটি প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি উভয় অংশ হিসেবে কাজ করে।
23. রেজিস্টিভিটি কী?
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের পরিবাহীর রোধকে রেজিস্টিভিটি বলে।
24. RMS মান কী?
AC কারেন্টের সেই মানকে RMS মান বলা হয় যা DC কারেন্টের সমান পরিমাণ তাপ উৎপন্ন করতে সক্ষম।
25. রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি কী?
AC সার্কিটে যেখানে ইন্ডাকটিভ রিয়েকট্যান্স ও ক্যাপাসিটিভ রিয়েকট্যান্স সমান হয়, তাকে রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি বলা হয়।
২৬. রিলে:
রিলে একটি স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস, যা বৈদ্যুতিক সার্কিটে কোনো ত্রুটি ঘটলে প্রটেকটিভ ডিভাইসগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় করে। এটি ত্রুটিযুক্ত অংশকে বাকি সার্কিট থেকে বিচ্ছিন্ন করে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
২৭. ১০টি রিলের নাম:
A. প্রাইমারি রিলে
B. সেকেন্ডারি রিলে
C. ডিরেকশনাল রিলে
D. ডিফারেনশিয়াল রিলে
E. থার্মাল রিলে
F. ইলেকট্রো-থার্মাল রিলে
G. রিভার্স পাওয়ার রিলে
H. সলিনয়েড এন্ড প্লাঞ্জার রিলে
I. ডিসট্যান্স রিলে
J. ওভার ভোল্টেজ ও ওভার কারেন্ট রিলে
২৮. রিভার্স পাওয়ার রিলে:
যখন কোনো অল্টারনেটর প্যারালেল অপারেশনে থাকে এবং ইনপুট ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়, তখন এটি বাসবার থেকে পাওয়ার নেয় এবং মোটর হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। এই অবস্থায় রিভার্স পাওয়ার রিলে সক্রিয় হয় এবং অল্টারনেটরের সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে সিস্টেমকে রক্ষা করে।
২৯. থার্মাল রিলে:
যে রিলে কারেন্ট বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাড়া দেয়, তাকে থার্মাল রিলে বলে। এটি সাধারণত মোটর কন্ট্রোল সার্কিট ও থ্রি-ফেজ সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
৩০. ডিফারেনশিয়াল রিলে:
ডিফারেনশিয়াল রিলে একটি ডিভাইস, যা দুই বা তার বেশি ইলেকট্রিক্যাল মানের পার্থক্য নির্ধারণ করে। নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করলে এটি সিস্টেম বা যন্ত্রকে রক্ষা করে।
৩১. HRC ফিউজ:
HRC (High Rupturing Capacity) ফিউজ উচ্চ কারেন্ট লাইনগুলোতে ব্যবহৃত হয়। এটি চিনামাটির কেসিং এবং ফিউজ তারের চারপাশে বালু বা চক পাউডার দিয়ে তৈরি হয়।
৩২. বুখলজ রিলে:
ট্রান্সফরমারের প্রটেকশন সিস্টেমে ব্যবহৃত বুখলজ রিলে ট্রান্সফরমারের ট্যাংকে গ্যাস সৃষ্ট হলে সক্রিয় হয় এবং এটি ত্রুটির কারণে প্রোটেকশন সরবরাহ করে। এটি সাধারণত তেল শীতল ট্রান্সফরমারে ব্যবহৃত হয়।
৩৩. আর্থিং সুইচ:
ট্রান্সমিশন লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের সময় বিদ্যুৎ সঞ্চারিত চার্জকে মাটিতে পাঠানোর জন্য যে সুইচ ব্যবহৃত হয়, তাকে আর্থিং সুইচ বলা হয়। এটি আইসোলেটরের সাহায্যে সার্কিট ডিসকানেক্ট করে ব্যবহৃত হয়।
৩৪. ওয়েভ ট্রাপ:
ওয়েভ ট্রাপ একটি ডিভাইস যা ট্রান্সমিশন লাইনের ওয়েভ ফিল্টার করে। এটি পাওয়ার লাইন দিয়ে যোগাযোগ ফ্রিকোয়েন্সি আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়।
৩৫. সার্জ ভোল্টেজ:
বিদ্যুৎ সিস্টেমে হঠাৎ করে অল্প সময়ের জন্য যে অস্বাভাবিক ভোল্টেজ বৃদ্ধি ঘটে, তাকে সার্জ ভোল্টেজ বলে।
৩৬. কারেন্ট লিমিটিং রিয়াক্টর:
এই ডিভাইসটি শর্ট সার্কিট অবস্থায় কারেন্টের পরিমাণ সীমিত করে। এটি লাইনের সাথে সিরিজে যুক্ত করে ফল্ট কারেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে।
37. লোড শেডিং
যখন চাহিদার তুলনায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ এর পরিমান কম হয়, তখন কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়, যাতে ওভার লোডে পুরো সিস্টেম বন্ধ হয়ে না যায়। এ ব্যবস্থাকে লোড শেডিং বলে।
38. লোড শেয়ারিং
একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উপর অর্পিত সকল লোড বিভিন্ন প্লান্টের সকল জেনারেটরের মধ্যে যুক্তিযুক্ত ভাবে বন্টন করাকে লোড শেয়ারিং বলে।
39. ‘ j ‘ operator কাকে বলে?
একটি operator যার মান √-1 কোন ভেক্টরের সহিত মাল্টিপ্লাইং ফ্যাক্টর হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে উক্ত ভেক্টর এর ৯০০ বামাবর্তে ঘূর্ণন নির্দেশ টাকা ‘ j ‘ operator বলে।
40. ওহমের সূত্র
ওহমের সুত্রঃ স্থির তাপমাত্রায় কোন বর্তনীর মধ্য দিয়ে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তাহা ঐ বর্তনীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সহিত সরাসরি সমানুপাতিক এবং রেজিস্টেন্সের সহিত উল্টানুপাতিক। অর্থাৎ I αV or I α1/V or I =V/R.
41. কারশফের সূত্র
কারশফের কারেন্ট সুত্র (KCL) কোন বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের এক বিন্দুতে মিলিত কারেন্ট সমুহের বীজগাণিতিক যোগফল শুন্য অথবা কোন বিন্দুতে আগত কারেন্ট = নির্গত কারেন্ট।
কারশফের ভোল্টেজ সুত্র (KVL) কোন বদ্ধ বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের সকল ই.এম.এফ এবং সকল ভোল্টেজ ড্রপের বীজগাণিতিক যোগফল শুন্য।
42. ফ্যারাডের সূত্র
প্রথম সুত্রঃ একটি তার বা কয়েলে ই. এম. এফ আবিষ্ট হয় তখন, যখন উক্ত তার বা কয়েলের সাথে সংশ্লিষ্ট চৌম্বক ফ্লাক্স বা চৌম্বক বল রেখার পরিবর্তন ঘটে।
দ্বিতীয় সুত্রঃ আবেশিত বিদ্যুচ্চালক বল এর পরিমান চৌম্বক বল রেখার পরিবর্তনের হারের সাথে সরাসরি সমানুপাতিক।
উপরোক্ত সূত্র দুটি একত্রে এভাবে লেখা যায়ঃ একটি পরিবাহী এবং একটি চৌম্বক ক্ষেত্রে আপেক্ষিক গতি যখন এরুপভাবে বিদ্যমান থাকে যে, পরিবাহীটি চৌম্বক ক্ষেত্রটিকে করুন্তন করে, তখন পরিবাহিতে আবেশিত একটি বিদ্যুচ্চালক বল সংঘটিত করুন্তনের হারের সাথে সমানুপাতিক।
43. লেনজের সূত্র লিখ।
আবেশিত বিদ্যুচ্চালক বলের কারনে পরিবাহী তারে প্রবাহিত আবেশিত কারেন্ট পরিবাহী তারের চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে, যেটি দারা আবেশিত কারেন্টের উৎপত্তি, উহাকেই (অর্থাৎ পরিবর্তনশীল ফ্লাক্স) এ (সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্র) বাধা প্রদান করে । যেখানে পরিবাহী স্থির এবং চৌম্বক ক্ষেত্র গতিতে থাকে সেখানে লেনজের সূত্র ব্যবহার হয়।
৪৪.ফ্লেমিং এর বাঁ হাতের নিয়ম
যখন কোন পরিবাহী তারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় এবং তার চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র থাকে, তখন ঐ পরিবাহী তারটি যদি ঐ চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে চলতে থাকে, তাহলে ফ্লেমিং এর বাঁ হাতের নিয়ম প্রযোজ্য হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী, যদি বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল, তর্জনী ও মধ্যমা পরস্পর লম্ব অবস্থায় রাখা হয়, তবে তর্জনী চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক, মধ্যমা বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক এবং বৃদ্ধাঙ্গুল বল বা গতি নির্দেশ করে।
৪৫. ফ্লেমিং এর ডান হাতের নিয়ম
ফ্লেমিং এর ডান হাতের নিয়মটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যদি ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল, তর্জনী ও মধ্যমা পরস্পর লম্ব অবস্থায় রাখা হয়, তবে তর্জনী চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক নির্দেশ করে, মধ্যমা ইনডিউসড কারেন্টের দিক নির্দেশ করে এবং বৃদ্ধাঙ্গুল গতি নির্দেশ করে।
৪৬. জেনারেটর
জেনারেটর এমন একটি যন্ত্র যা যান্ত্রিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ইহা ফ্লেমিং এর ডান হাতের নিয়ম অনুসারে কাজ করে।
৪৭. মোটর
মোটর হলো এমন একটি ডিভাইস যা বিদ্যুৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ইহা ফ্লেমিং এর বাঁ হাতের নিয়ম অনুসারে কাজ করে।
৪৮. AC এবং DC এর পার্থক্য
AC (Alternating Current) এমন এক ধরনের কারেন্ট যা সময়ের সাথে সাথে দিক পরিবর্তন করে, অর্থাৎ কারেন্ট একবার একদিকে প্রবাহিত হয়, পরে বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়। DC (Direct Current) হল এমন কারেন্ট যা একটি নির্দিষ্ট দিকেই প্রবাহিত হয়।
৪৯. ক্যাপাসিটর
ক্যাপাসিটর এমন একটি ডিভাইস যা বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে এবং প্রয়োজনের সময় তা মুক্ত করতে পারে। এটি দুটি পরিবাহী প্লেটের মধ্যে ডাইইলেকট্রিক পদার্থ ব্যবহার করে কাজ করে।
৫০. ইন্ডাক্টর
ইন্ডাক্টর হল এমন একটি উপাদান যা চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে এবং বিদ্যুৎ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। যখন কোনো কারেন্ট ইন্ডাক্টরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন সেটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে।
৫১. ট্রানজিস্টর
ট্রানজিস্টর একটি সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা বৈদ্যুতিক সংকেত বৃদ্ধি (অ্যামপ্লিফিকেশন) বা স্যুইচিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
৫২. ডায়োড
ডায়োড হল এমন একটি উপাদান যা বিদ্যুৎ প্রবাহকে শুধুমাত্র একদিকেই প্রবাহিত করতে দেয়।
৫৩. SCR (Silicon Controlled Rectifier)
SCR হল একটি সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা বড় ভোল্টেজ এবং কারেন্ট পরিচালনা করতে সক্ষম। এটি পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ্লিকেশন যেমন সুইচিং, রেক্টিফিকেশন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
৫৪. ফিল্টার
ফিল্টার একটি ডিভাইস যা বিদ্যুতের নির্দিষ্ট ফ্রিকুয়েন্সি অবরুদ্ধ বা পারমিট করে।
৫৫. থাইরিস্টর
থাইরিস্টর হলো একটি সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা প্রধানত উচ্চ ক্ষমতা বিশিষ্ট AC এবং DC কারেন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৫৬. সার্জ অ্যারেস্টার
সার্জ অ্যারেস্টার হল একটি ডিভাইস যা সার্জ ভোল্টেজ থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিকে রক্ষা করে।
৫৭. সার্ভো মোটর
সার্ভো মোটর হল এমন একটি বিশেষ ধরণের মোটর যা নির্দিষ্ট কোণ বা অবস্থানে নির্ভুল গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
৫৮. স্টেপার মোটর
স্টেপার মোটর হল এমন একটি মোটর যা একটি নির্দিষ্ট কোণ বা ধাপে ঘুরতে সক্ষম এবং এর গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৫৯. ইন্সুলেটর
ইন্সুলেটর হল এমন এক ধরনের পদার্থ যা বিদ্যুৎ প্রবাহকে আটকায়। উদাহরণস্বরূপ, রাবার, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
৬০. সুপার কন্ডাক্টর
সুপার কন্ডাক্টর এমন একটি পদার্থ যার রেজিস্ট্যান্স তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে শূন্য হয়ে যায় এবং এটি বিশাল পরিমাণে বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে সক্ষম।
৬১. ব্যাটারি
ব্যাটারি এমন একটি ডিভাইস যা রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং বিদ্যুৎ সঞ্চয় করতে সক্ষম।
৬২. কন্ডাক্টর
কন্ডাক্টর হল এমন পদার্থ যা সহজে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে দেয়।
৬৩. হাফ ওয়েভ রেক্টিফায়ার
একটি হাফ ওয়েভ রেক্টিফায়ার শুধুমাত্র একটি সাইন ওয়েভের এক দিকের (পজিটিভ বা নেগেটিভ) কারেন্টকে সঞ্চালিত করে।
৬৪. ফুল ওয়েভ রেক্টিফায়ার
ফুল ওয়েভ রেক্টিফায়ার হল একটি সার্কিট যা সাইন ওয়েভের উভয় দিক থেকে কারেন্টকে সঞ্চালিত করে, অর্থাৎ উভয় পজিটিভ এবং নেগেটিভ সিগন্যালকে রেক্টিফাই করে।
৬৫. বিডিআর
বিডিআর (Breakdown Voltage) একটি নির্দিষ্ট ভোল্টেজ যা ছাড়িয়ে গেলে কোন উপাদান ধ্বংস হয়ে যায় বা তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে।
৬৬. ট্রান্সডিউসার
ট্রান্সডিউসার একটি ডিভাইস যা এক ধরনের শক্তিকে অন্য ধরনের শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
৬৭. অপ্টোকাপলার
অপ্টোকাপলার হল একটি ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট যা আলোর মাধ্যমে দুটি পৃথক সার্কিটের মধ্যে সিগন্যাল স্থানান্তর করতে সাহায্য করে।
৬৮. হ্যালোইড ল্যাম্প
হ্যালোইড ল্যাম্প একটি উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন ল্যাম্প যা হ্যালোজেন গ্যাস ব্যবহার করে কাজ করে।
৬৯. LED
LED (Light Emitting Diode) একটি সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে আলো নির্গত করে।
৭০. সোলার সেল
সোলার সেল একটি ডিভাইস যা সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
৭১. কনডেন্সার মাইক
কনডেন্সার মাইক এমন একটি মাইক্রোফোন যা ক্যাপাসিট্যান্সের পরিবর্তনের মাধ্যমে সাউন্ড সিগন্যালকে বিদ্যুৎ সিগন্যাল হিসেবে রূপান্তরিত করে।
৭২. রেজিস্টর কালার কোড
রেজিস্টরের উপর থাকা বিভিন্ন রঙের ব্যান্ড রেজিস্টরের মান নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়।
৭৩. ইউপিএস (UPS)
UPS (Uninterruptible Power Supply) হলো একটি ডিভাইস যা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান করে।
৭৪. আইসিটি
ICT (Information and Communication Technology) এর মাধ্যমে ডেটা আদানপ্রদান এবং স্টোরেজ করা যায়।
৭৫. লোড ফ্যাক্টর
লোড ফ্যাক্টর হলো একটি ডিভাইস বা সার্কিটের গড় লোড এবং সর্বাধিক চাহিদার অনুপাত।