যে ৭টি বিষয় না দেখে স্মার্টফোন কিনলে নিশ্চিত ঠকবেন!

একটা সময় ধারণা করা হতো যে দামি ফোন মানেই যেকোনো কাজ করা যাবে। কিন্তু এই ধারণাটা অনেকটাই ভুল। কারণ এখন কোনো ফোনই সকল ফিচার বা সুবধাসমূহ পরিপূর্ণভাবে দিচ্ছে না। এমনকি অ্যাপল ব্রান্ডের ফোনও নয়। কোনো স্মার্টফোনে গেমিং ভালো করা যায়, আবার কোনো স্মার্টফোনের ক্যামেরায় ছবি ভালো আসে। তাই কোনো স্মার্টফোন কেনার আগে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব দিবেন সেটি নিয়েই আজকের বিস্তারিত আলোচনা।

যে ৭টি বিষয় না দেখে স্মার্টফোন কিনলে নিশ্চিত ঠকবেন

যদি বর্তমানে স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে ঠকতে না চান তাহলে প্রধানত ৭টি বিষয় খেয়াল রাখবেন। নিচে এ বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

যে ৭টি বিষয় না দেখে স্মার্টফোন কিনলে নিশ্চিত ঠকবেন!

১. পারফর্ম্যান্স

অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারের কয়েক মাসের মধ্যেই অনেক বাজে রকমের পারফর্ম্যান্স দেয়। তাই এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ৩টি বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রাখবেন-

i. প্রসেসর

ii. (RAM) র‌্যাম টাইপ

iii. (ROM)রম/স্টোরেজ টাইপ

(Processor) প্রসেসর

স্মার্টফোনের ৭ ধরনের SOC( System on Chip) বা চিপসেটের প্রসেসর রয়েছে। সেগুলো হলো-

১. অ্যাপল- Bionic

২. Qualcomm- Snapdragon

৩. MediaTek- Helio

৪. Samsung Exynos

৫. HiSilicon (Huawei) Kirin

৬. Unisoc China

৭. Google Tensor

হয়তো জেনেই থাকবেন যে, অ্যাপলের বর্তমান Bionic প্রসেসরের উপরে কোনো কোম্পানির প্রসেসর হয় না। তবে, আপনি যদি বর্তমানে মোটামুটি বাজেটের স্মার্টফোন কিনতে চান তাহলে অ্যাপলের পরবর্তী ২টি প্রসেসরের মধ্যে Qualcomm এর Snapdragon চিপসেটের প্রসেসরের স্মার্টফোনগুলো প্রথম পছন্দতে রাখার চেষ্টা করবেন।  আমার লিস্টে হয়তো অনেক প্রসেসর এর নাম দেখতে পাচ্ছেন যেগুলো আপনি আগে কখনো দেখেন নি। লিস্টের ৪ থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত যে প্রসেসরগুলো রয়েছে সেগুলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রথম ৩টির মতো এতটা জনপ্রিয় নয়। তবুও আপনাদের জানার জন্য কিছু চুম্বক তথ্য দিচ্ছি। Samsung তাদের বর্তমান স্মার্টফোনের চিপসেটের প্রসেসরগুলোতে নিজস্ব প্রসেসরের নাম দিয়েছে Exynos বর্তমানে রিয়েলমি, আইটেল, নকিয়া, টেকনো, মোটোরোলা ব্রান্ডের স্মার্টফোনগুলোতে এবং স্যামসাং এর পূর্ববর্তী কিছু স্মার্টফোনে Unisoc -এর প্রসেসরগুলো ব্যবহার দেখা গিয়েছিল। গত বছরে Unisoc এর প্রসেসর ব্যবহৃত স্মার্টফোনগুলোতে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা উঠে আসে। অর্থাৎ, এই স্মার্টফোনগুলো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই এই প্রসেসর ব্যবহার করা কোম্পানির স্মার্টফোনগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। হয়তো দেখেই বুঝতে পারছেন যে Kirin হলো Huawei এর প্রসেসর। Huawei নিজেদের স্মার্টফোনগুলোতে এই Kirin প্রসেসর দিয়ে থাকে।আমেরিকা Huawei কে নিষিদ্ধ করায় এই কোম্পানি তাদের প্রসেসরের আর্কিটেকচার ARM থেকে কিনতেও পারছেনা এবং তাই  তারা MediaTek অথবা Exynos এর প্রসেসরের দিকে ঝুকে পরেছে। গুগলের নতুন প্রসেসর হচ্ছে Tensor

বর্তমানে কম বাজেটের স্মার্টফোনে প্রসেসরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো প্রসেসর হচ্ছে-

*Qualcomm Snapdragon 460 [SOC Ranking]

(ROM) রম/স্টোরেজ টাইপ

স্মার্টফোন কেমন পারফর্ম্যান্স দিবে প্রসেসরের পরই সেটি অনেকাংশে নির্ভর করে স্টোরেজের টাইপ বা ধরনের ওপর। তাই স্টোরেজ টাইপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টফোনে স্টোরেজ টাইপ ২ ধরনের।

১. UFS

২. eMMC

বর্তমানে, UFS 3 সবচেয়ে সাধারণ স্টোরেজ টাইপ। আপনি যদি eMMC স্টোরেজে স্মার্টফোন ক্রয় করেন, তাহলে আপনার স্মার্টফোন অনেক কাজে খুব একটা ভালো সাপোর্ট দিবে না। কারণ eMMC এর চেয়ে অনেক ভালো স্পিডের কর্মক্ষমতা দিয়ে থাকে। কোন স্টোরেজের পারফর্ম্যান্স কেমন দেয়, তা আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে একটি চার্ট দিচ্ছি-

স্টোরেজ টাইপ

Read Speed

Write Speed

UFS 4

৪২০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

২৮০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

UFS 3.1

২১০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

১২০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

UFS 3.0

১২৬০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

৮৪০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

UFS 2.1

৮৬০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

২৫৫ মেগাবাইট/সেকেন্ড

UFS 2

৪৪০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

১৯০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

eMMC 5.1

৩৫০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

১৫০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

eMMC 4.5

১৪০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

৫০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

এখানে Read Speed বলতে বুঝায় যে, কত দ্রুত সেই মেমোরিটি আপনার স্মার্টফোনের কোনো ফাইল ওপেন করতে পারবে এবং Write Speed বলতে বুঝায় যে, কত দ্রুত সময়ে আপনার কোনো ফাইল সেইভ করতে পারবে। আরো সহজ করে যদি বলি, আপনি যদি eMMC 5.1 মেমোরির স্মার্টফোনে কোনো কাজ করেন (যেমন- কোনো কিছু লিখবেন, ছবি তুলবেন) তাহলে সেই মেমোরির এই সম্পন্ন করতে প্রসেসিং ক্ষমতা রয়েছে ১৫০ মেগাবাইট/সেকেন্ড অর্থাৎ ১ সেকেন্ডে ১৫০ মেগাবাইট পর্যন্ত ডেটা গুছিয়ে রাখতে পারবে। অন্যদিকে, UFS 4 মেমোরিতে সেই কাজ করতে ২৮০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড ক্ষমতা পাবেন।

(RAM) র‌্যাম

অনেকেই ভাবেন যে র‌্যাম বেশি থাকলেই স্মার্টফোনটি ভালো হবে । হ্যাঁ, আপনাদের ধারণাটি একেবারেই যে ভুল সেটিও নয়। তবে এখানে দেখার বিষয়টি হলো আপনার র‌্যামের টাইপটি কোন ক্যাটাগরিতে রয়েছে। অনেক ধরনের র‌্যামই রয়েছে, কিন্তু বেশি জিবি র‌্যাম দেখে যদি খুবই সাধারণ টাইপের র‌্যাম ব্যবহৃত স্মার্টফোন কেনার কথা ভাবেন, তাহলে হয়তো আপনি অনেক বড় রকমের ভুল করতে যাচ্ছেন। নিচে র‌্যামের বিভিন্ন টাইপ নিয়ে একটা তুলনামূলক টেবিল দেখানো হয়েছে-

Type

Speed

LP-DDR5x

8500 Mbps

LP-DDR5

6400 Mbps

LP-DDR4x

4266 Mbps

LP-DDR4

3200 Mbps

LP-DDR3

1066 Mbps

[মনে রাখবেন, স্পীড যত বেশি সেই র‌্যামের পারফর্ম্যান্সও ততই ভালো হবে।]

২. ক্যামেরা

ক্যামেরা সেন্সর

ক্যামেরার সংখ্যা বা কত মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সেদিকে লক্ষ্য না করে, লক্ষ্য রাখতে হবে কোন সেন্সর দিয়ে ক্যামেরাটি গঠিত। আপনি যদি ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করেন তাহলে আপনি মূলত ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার সুবিধা পাচ্ছেন। আবার, যদি ৬৪ মেগাপিক্সেল ব্যবহার করেন তাহলে আপনি মূলত ১৬ মেগাপিক্সেলের সুবিধা পাচ্ছেন। আসলে ক্যামেরা মেগাপিক্সেল বেশি দিয়ে আপনার ছবির সাইজ বৃদ্ধি পায়, তবে ইমেজ কোয়ালিটি বৃদ্ধি পায়না। যেই ক্যামেরার সেন্সর যতটা বড় এবং যত ভালো ব্রান্ডের সেন্সর হবে, সেই ক্যামেরা তত বেশি ভালো পারফর্ম্যান্স দিয়ে থাকে। অনেক স্মার্টফোন দেখতে পাবেন যেগুলো আপনার স্মার্টফোনের চেয়ে কম মেগাপিক্সেলে ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও অনেক ভালো রেজুলেশনের ছবি তুলতে পারে। এর একটাই কারণ হচ্ছে, সেই স্মার্টফোনের ক্যামেরার সেন্সরটি আপনার বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার চেয়েও ভালো। কিন্তু মোবাইল কোম্পানিগুলো সাধারণত ভালো বা বড় মানের সেন্সর ব্যবহার না করলে সেই ক্যামেরা বিষয়ক তথ্যগুলো হাইড করে।বর্তমানে ২টি কোম্পানিই ক্যামেরার জন্য সেন্সর দিয়ে থাকে। সেগুলো হলো-

১. স্যামসাং (Samsung)

২. সনি (Sony)

Sony-এর ক্যামেরা সেন্সর তুলনামুলক বেশি ভালো। তবে ক্যামেরার সেন্সর ভালো হলেও প্রসেসর ভালো না হলে আপনার স্মার্টফোন ভালো করে ইমেজ প্রসেস করতে পারবে না। Sanpdragon ও Kirinএর প্রসেসরগুলো তুলনামুলক ভালো ইমেজ প্রসেস করতে পারে। কিছু ভালোমানের সেন্সরের লেন্স হলো-

১. Panasonic Leica

২. Sony Carl Zeiss

অ্যাপারচার (Aperture)

ক্যামেরা সেন্সরের পরেই যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো, অ্যাপারচার (Aperture) কত। মনে রাখবেন,  কোনো স্মার্টফোনের ক্যামেরার অ্যাপারচার যত কম হবে, সেই ক্যামেরা ততই কম আলোতে তুলনামুলক বেশি ভালো ছবি দিতে পারবে। কারণ, এই স্কোর যত কম হবে আপনার ক্যামেরার শুটার ততই বড় হয়ে ছবি শুট করবে। এই কারণে, ক্যামেরা পর্যাপ্ত আলো পায় বা বেশি অ্যাপেচার স্কোরের ক্যামেরা থেকে বেশি আলো গ্রহণ করে। তাই আপনার শুট করা ছবি তুলনামুলক ভালো আসবে। আমাদের রিভিউ বা যেকোনো ওয়েবসাইটের স্মার্টফোনের ক্যামেরা অপশনে লক্ষ্য করবেন মেগাপিক্সেলের পাশে লেখা থাকে- f/1.8, f/2.2 অথবা f/2.4। এই সংকেতগুলো আপনার বিভিন্ন ক্যামেরার অ্যাপারচার (Aperture) নির্দেশ করে। তাই আপনার যদি ফটোগ্রাফিতে বেশি আগ্রহ থাকে তাহলে লক্ষ্য রাখবেন আপনার পেছনের এবং সামনের ক্যামেরার অ্যাপারচার স্কোর যেন কম থাকে। ক্যামেরার অ্যাপারচার f/1.8 হলেও অনেক ভালো ছবি পাবেন

বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের মোবাইলের রিভিউ, গুগল বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ছবিগুলোর মধ্যে তুলনা করার চেষ্টা করবেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে কোন ক্যামেরা তুলনামুলক ভালো। আপনাদের কাছে আমার পরামর্শ যে স্মার্টফোনের ছবির কোয়ালিটি বেশি শার্প হবে সেই ক্যামেরা পছন্দ করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এসকল স্মার্টফোনের ক্যামেরাগুলো বেশি দিন টেকসই থাকবেনা। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার কোন ক্যামেরার ফোকাস বেশি। যদি সামনের ক্যামেরা বা সেলফি ক্যামেরা ভালো চান তাহলে আগে সেলফি ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো তুলনা করবেন।

৩. বিউল্ড কোয়ালিটি

বর্তমানের স্মার্টফোনগুলোর বডিতে তিন ধরনের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহৃত হয়। 

১. প্লাস্টিক

২. অ্যালুমিনিয়াম অথবা মেটাল

৩. গ্লাস

স্মার্টফোনগুলোর এসকল বিউল্ড কোয়ালিটির সুবিধা অসুবিধা দুটোই রয়েছে। আপনার ফোনের ব্যবহার মাত্রা অনুযায়ী বডি সিলেক্ট করতে হবে।

প্লাস্টিক বা পলি-কার্বোনেটেড বডি

সাধারণত মিড বা লোয়ার রেন্জের বাজেটের স্মার্টফোনগুলোতে প্লাস্টিক বডি ব্যবহৃত হয়। প্লাস্টিক বিউল্ড বলতে বুঝায়, কোনো স্মার্টফোনের সম্পূর্ণ বডি ফ্রেমটি এবং পিছনের দিকের বডি শেলটি প্লাস্টিক দিয়ে গঠিত। এই ধরনের স্মার্টফোনগুলোর বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে।

সুবিধাসমূহ-

১. যেকোনো ডিজাইন ভ্যারিয়েশন রাখা যায়

২. ভেঙে বা ফেটে যাবার সম্ভবনা কম থাকে

৩. ওয়্যারলেস সার্ভিস সিস্টেমে পাওয়া যায়

অসুবিধাসমূহ-

১. স্ক্যাচ পড়ে যায়

২. দেখতে কম প্রিমিয়াম মনে হয় বা কম আকর্ষণীয় মনে হয়।

অ্যালুমিনিয়াম অথবা মেটাল বডি

সাধারণত মিড বা হায়ার মিড রেন্জের বাজেটের ফোনগুলোতে মেটাল বিউল্ড বডি পাওয়া যায়। মেটাল বিউল্ড বলতে বুঝায়, কোনো স্মার্টফোনের সম্পূর্ণ বডি ফ্রেমটি এবং পিছনের দিকের বডি শেলটি মেটাল দিয়ে গঠিত।

সুবিধাসমূহ-

১. দেখতে আকর্ষণীয় হয়

২. হাত থেকে পড়ে গেলে ভেঙে যায় না

অসুবিধাসমূহ-

১. নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে সমস্যা হয়

২. ওয়্যারলেস সার্ভিস সিস্টেমে দেওয়া যায় না

বর্তমানে ব্যাটারি পাওয়ারফুল কোয়ালিটির কারণে এই গঠনের বডিগুলো স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয় না।

গ্লাস বডি

মিড রেন্জ থেকে সকল টপ বাজেটের ফোনগুলোতে গ্লাস বিউল্ট হয়ে থাকে। গ্লাস বিউল্ডেড বডির স্মার্টফোনগুলো দুই ধরনের হয়ে থাকে।

১. দুই পাশে গ্লাস এবং মাঝখানে প্লাস্টিক অর্থাৎ মেইন বডি ফ্রেমটি প্লাস্টিকের- এই বডির ফোনগুলোর প্রিমিয়াম কোয়ালিটি তুলনামূলক কম

২. দুই পাশে গ্লাস এবং মাঝখানে মেটাল ফ্রেম- এই স্মার্টফোনগুলো বিউল্ট কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়ে থাকে।

সুবিধা

১. ওয়্যারলেস সার্ভিস সিস্টেমে দেওয়া যায়

২. দেখতে অনেক সুন্দর হয়

অসুবিধা

১. স্মার্টফোন পড়ে গেলে এর বডি ফেটে যায় বা দাগ পড়ে যায়

বর্তমানে গরিলা গ্লাস ব্যবহার করায় স্মার্টফোনগুলোর গ্লাস কোয়ালিটিগুলো অনেক ভালো হয়ে থাকে, ফলে এসব স্মার্টফোনে তেমন স্ক্রাচ পড়ার সম্ভবনা কমে যায়। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ২৭০ ডিগ্রি  বাকিয়েও গরিলা ভাঙা যায়নি। আপনার হাত থেকে যদি মোবাইল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা কম হয়, তাহলে দুই পাশে গ্লাস এবং মাঝখানে মেটাল ফ্রেম বিশিষ্ট বিউল্ট কোয়ালিটির স্মার্টফোন কেনাটাই ভালো হবে।

৪. ব্যাটারি

৪০০০ থেকে ৪৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং সাথে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ক্যাপাবিলিটির স্মার্টফোনগুলো প্রথম পছন্দে রাখবেন।

৫. ডিসপ্লে

স্বাভাবিক সাইজের হাত হলে ৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে যুক্ত স্মার্টফোনগুলো ভালো হয়। কেনার আগে ফোনগুলো হাতে নিয়ে দেখবেন যে আপনার হাতে সেটি ঠিকভাবে নিতে সমস্যা হচ্ছে কি না। আর আপনি যদি রাতে বেশি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে AMOLED প্যানেলের ডিসপ্লে ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু দিনেও অনেক ব্যবহার করে থাকলে এবং প্রচন্ড গেইম খেলার অভ্যাস থাকলে HDR ডিসপ্লে পছন্দ করতে পারেন এবং বেশি হার্জের রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে নেবার চেষ্টা করবেন। তাহলে কালারটা অনেক ভালো আসে।

৬. অপারেটিং সিস্টেম (OS) সফটওয়্যার

দ্রুত সিকিউরিটি আপডেট আসে এমন অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যারের ফোনগুলো সিলেক্ট করার চেষ্টা করবেন। তবে এন্ড্রয়েড বা IOS অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে যেটি ব্যবহার করতে আপনার কাছে সুবিধা বা সহজ অনুভব হবে সেটিই ব্যবহারে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

৭. বাজেট

আপনার বাজেট একদম নির্ধারিত করেই ফোন কিনতে যাবেন। কারণ মার্কেটে গেলে অনেক সময় দেখা যায় যে আপনার বাজেটের একটু বাড়িয়ে দিলেই আর একটু বেশি র‌্যামের স্মার্টফোন পাওয়া যায়। কিন্তু এভাবে মার্কেটে গিয়ে হঠাৎ বাজেটের থেকে একটু বেশি দিয়ে স্মার্টফোন ক্রয় করা ঠিক নয়। কারণ প্রায় সময়ই কিছু দিনের মধ্যেই স্মার্টফোনগুলো অনেক আপডেট নিয়ে আসে। তখন আপনার মনে হতেই পারে যে, বাজেটের বেশি খরচ করে ক্ষতি হয়ে গেছে।

মতামত

এ সকল বিষয় দেখার সাথে লক্ষ্য রাখবেন স্মার্টফোনটির সার্ভিস সেন্টার আপনার নিকটবর্তী কি না। সকল সুবিধা অসুবিধা ভালো ভাবে জেনেই কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন। কারণ, কোনো স্মার্টফোনই এখন পর্যন্ত সকল সুবিধা দিবে সক্ষম হয়নি। আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url