১০ হাজার টাকার মধ্যে ভিভো মোবাইল বাংলাদেশ ২০২৩
১০০০০ টাকার মধ্যে ভিভো মোবাইল ২০২৩
স্মার্টফোন
কেনার সময় আপনার যদি ক্যামেরাই মূল আকর্ষণ হয়, তাহলে ভিভোতে কাঙ্খিত ফোন পেতে পারেন।
বর্তমান মার্কেটে ১০,০০০ টাকার মধ্যে Vivo এর স্মার্টফোনগুলো হলো-
১. Vivo Y02
২. Vivo Y91C
৩. Vivo Y1s
৪. Vivo Y15C (Unofficial)
রিভিউ
রিভিউগুলোতে স্মার্টফোন কিনতে যে বিষয়গুলো দেখবেন বা দেখা উচিত সেগুলোই বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। তবে এই আর্টিকেলটি পড়ার পূর্বে জেনে নিন- যে ৭টি বিষয় না দেখে স্মার্টফোন কিনলে নিশ্চিত ঠকবেন!
Vivo Y02
এই Vivo Y02 স্মার্টফোনটিতে
রয়েছে ২জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম (eMMC 5.1)। Vivo Y02 এর বর্তমান প্রাইস নির্ধারণ
করা হয়েছে মাত্র ১০,৯৯৯ টাকা। আপনার
বাজেট ১১,০০০ টাকা এর মতো হলে আপনি এই স্মার্টফোনটি কিনতে পারেন।
অপারেটিং সিস্টেম ও প্রসেসর
স্মার্টফোনটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১২। Mediatek Helio P22 (12nm) এর চিপসেট দিচ্ছে। এছাড়া এটিতে পাচ্ছেন
2.0GHz এর Octa-core প্রসেসর। এই চিপসেটে পাবজি, ফ্রি ফায়ার এর মতো হায়ার গ্রাফিক্সের
গেইমগুলো খেলতে অসুবিধা হবে।
এটিতে ফিঙ্গার
প্রিন্ট সেন্সর না থাকলেও ফেস আইডেনটিটির সুবিধা রয়েছে।
চার্জিং ক্যাপাসিটি
৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের
ব্যাটারির সাথে থাকছে ১০ ওয়াটের চার্জার ও একটি টাইপ বি চার্জিং পোর্ট। চার্জ হতে সময় লাগবে
২ঘন্টা ৩০ মিনিটের কাছাকাছি।
ডিসপ্লে এবং বিউল্ড কোয়ালিটি+ডিজাইন
এই স্মার্টফোনের
ফ্রেমটি ফ্লাট প্যানেল এবং বিউল্ড কোয়ালিটিতে রয়েছে পলিকার্বনেট বা প্লাস্টিক বডি।
এর পুরুত্ব ৮.৫ মিলিমিটার। ৩.৫ মিলিমিটার মাইক্রো হেডফোন জ্যাক রয়েছে। এই ফোনটিতে ৬.৫১ ইঞ্চির
একটি IPS LCD ডিসপ্লে দেওয়া রয়েছে। এছাড়া ২৭০ ppi এর ডিসপ্লে ডেনসিটি রয়েছে।
ক্যামেরা
ব্যাক ক্যামেরাতে ৮ মেগাপিক্সেলের একটি সেন্সর ও সাথে LED ফ্লাশ রয়েছে এবং ফ্রন্ট ক্যামেরাতে ৫ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। স্মার্টফোনটির সামনের ক্যামেরায় f/2.2 অ্যাপারচার এবং পেছনের ক্যামেরায় অ্যাপারচার f/2.0 থাকবে। চারটির মধ্যে এই স্মার্টফোনটিতে সামনের ক্যামেরায় ছবি তুলনামুলক ভালো আসবে।
Vivo Y91C
এই স্মার্টফোনটিতে
রয়েছে ২ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম (eMMC 5.1)। Vivo Y91C এর বর্তমান প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ১০,৯৯০ টাকা।
অপারেটিং সিস্টেম ও প্রসেসর
স্মার্টফোনটিতে
রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৮.১। Mediatek Helio P22 (12nm) এর ৪জি চিপসেট দিচ্ছে। এছাড়া এটিতে পাচ্ছেন 2 GHz এর
Octa-core প্রসেসর। এই চিপসেটে পাবজি, ফ্রি ফায়ার এর মতো হায়ার গ্রাফিক্সের গেইমগুলো
না খেলাই ভালো।
স্মার্টফোনটিতে
ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর না থাকলেও ফেস আইডেনটিটির সুবিধা রয়েছে।
চার্জিং ক্যাপাসিটি
৪০৩০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের
ব্যাটারির সাথে থাকবে একটি microUSB 2.0 চার্জিং পোর্টের ১০ ওয়াটের চার্জার। চার্জ
হতে সময় লাগবে ২ঘন্টা ৩০ মিনিটের কাছাকাছি।
ডিসপ্লে, বিউল্ড কোয়ালিটি এবং ডিজাইন
এই স্মার্টফোনের
ফ্রেমটি ফ্লাট প্যানেল এবং বিউল্ড কোয়ালিটিতে রয়েছে পলিকার্বনেট বা প্লাস্টিক বডি।
৩.৫ মিলিমিটার মাইক্রো হেডফোন জ্যাক। এই ফোনটিতে ৬.২২ ইঞ্চির একটি IPS LCD ডিসপ্লে দেওয়া রয়েছে। এছাড়া ২৭০ ppi এর ডিসপ্লে
ডেনসিটি রয়েছে।
ক্যামেরা
ব্যাক ক্যামেরাতে ১৩ মেগাপিক্সেলের একটি সেন্সর ও সাথে LED ফ্লাশ রয়েছে এবং ফ্রন্ট ক্যামেরাতে
৫ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা। এর ক্যামেরার ইমেজ কোয়ালিটি ভালো।
স্মার্টফোনটি প্রথম মার্কেটে এসেছিল
২০১৯ সালের মার্চে। আপনার যদি বাজেটে কমতি থাকে তাহলে এই স্মার্টফোনটি ক্রয় করতে পারেন
তবে স্মার্টফোনটি কিছুটা পুরনো ভার্সনের।
Vivo Y1s
এই স্মার্টফোনটিতে
রয়েছে ২ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম (eMMC 5.1)। Vivo Y1s এর বর্তমান প্রাইস নির্ধারণ
করা হয়েছে মাত্র ৮,৯৯৯ টাকা।
অপারেটিং সিস্টেম ও প্রসেসর
স্মার্টফোনটিতে
রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১০। Mediatek Helio P35 (12nm) এর চিপসেট দিচ্ছে। এছাড়া এটিতে পাচ্ছেন 2.35 GHz এর
Octa-core প্রসেসর। এই চিপসেটে পাবজি, ফ্রি ফায়ার এর মতো হায়ার গ্রাফিক্সের গেইমগুলো
না খেলাই ভালো।
স্মার্টফোনটিতে
ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর না থাকলেও ফেস আইডেনটিটির সুবিধা রয়েছে।
চার্জিং ক্যাপাসিটি
৪০৩০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারির সাথে
১০ ওয়াটের চার্জার ও একটি microUSB 2.0 চার্জিং পোর্ট। চার্জ হতে সময় লাগবে ২ঘন্টা ৩০ মিনিটের
কাছাকাছি।
ডিসপ্লে, বিউল্ড কোয়ালিটি এবং ডিজাইন
এই স্মার্টফোনের
ফ্রেমটি ফ্লাট প্যানেল এবং বিউল্ড কোয়ালিটিতে রয়েছে পলিকার্বনেট বা প্লাস্টিক বডি।
৩.৫ মিলিমিটার মাইক্রো হেডফোন জ্যাক রয়েছে। এই ফোনটিতে ৬.২২ ইঞ্চির একটি IPS LCD ডিসপ্লে দেওয়া রয়েছে। এছাড়া ২৭০ ppi এর ডিসপ্লে
ডেনসিটি রয়েছে।
ক্যামেরা
ব্যাক ক্যামেরাতে ১৩ মেগাপিক্সেলের একটি সেন্সর ও সাথে LED ফ্লাশ রয়েছে এবং ফ্রন্ট ক্যামেরাতে ৫ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা। স্মার্টফোনটির সামনের ক্যামেরায় অ্যাপারচার f/1.8 এবং পেছনের ক্যামেরায় অ্যাপারচার f/2.2 থাকবে। আপনার যদি ভালো সেলফি তুলতে চান তাহলে এটি হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। এই স্মার্টফোনের ব্যাক ক্যামেরার ইমেজ কোয়ালিটিও তুলনামূলক ভালো।
স্মার্টফোনটি প্রথম মার্কেটে এসেছিল
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বরে। আপনার যদি বাজেটে কমতি থাকে তাহলে এই স্মার্টফোনটি ক্রয় করতে
পারেন তবে স্মার্টফোনটি কিছুটা পুরনো ভার্সনের।
Vivo Y15C (Unofficial)
এই স্মার্টফোনটিতে
রয়েছে ৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম (eMMC 5.1)। Vivo Y15C এর বর্তমান প্রাইস নির্ধারণ
করা হয়েছে মাত্র ১০,০০০ টাকা।
অপারেটিং সিস্টেম ও প্রসেসর
স্মার্টফোনটিতে
রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১২। Mediatek Helio P35 (12nm) এর চিপসেট দিচ্ছে। এছাড়া এটিতে পাচ্ছেন 2.3 GHz এর
Octa-core প্রসেসর। এই চিপসেটে হায়ার গ্রাফিক্সের মধ্যে ফ্রি ফায়ার গেইমটি খেলতে তেমন
সমস্যা হয়না। তবে পাবজি গেইমটি এই স্মার্টফোনে না খেলাই ভালো।
স্মার্টফোনটিতে
ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর না থাকলেও ফেস আইডেনটিটির সুবিধা রয়েছে।
চার্জিং ক্যাপাসিটি
৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারির সাথে
থাকবে একটি microUSB 2.0 চার্জিং পোর্টের ১০ ওয়াটের চার্জার। চার্জ হতে সময় লাগবে ২ঘন্টা
৩০ মিনিটের কাছাকাছি।
ডিসপ্লে, বিউল্ড কোয়ালিটি এবং ডিজাইন
এই স্মার্টফোনের
ফ্রেমটি ফ্লাট প্যানেল এবং বিউল্ড কোয়ালিটিতে রয়েছে পলিকার্বনেট বা প্লাস্টিক বডি।
৩.৫ মিলিমিটার মাইক্রো হেডফোন জ্যাক। এই
ফোনটিতে ৬.৫১ ইঞ্চির একটি IPS LCD ডিসপ্লে দেওয়া রয়েছে। এছাড়া ২৭০ ppi এর ডিসপ্লে ডেনসিটি
রয়েছে।
ক্যামেরা
ব্যাক ক্যামেরাতে ১৩ মেগাপিক্সেলের একটি সেন্সর ও সাথে LED ফ্লাশ রয়েছে এবং ফ্রন্ট ক্যামেরাতে
৮ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা।
মতামত
উপরের রিভিউগুলো তুলনা করলেই বুঝতে পারবেন যে Vivo Y02 স্মার্টফোনটি সকল ফিচারের দিক দিয়ে ভালো। তাই আমার মতামত এই বাজেটে Vivo Y02 ফোনটিই ভালো ব্যাক আপ দিবে।