কিভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করবেন?
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা আয় করাটা একটু কঠিন হলেও একটু শ্রম দিয়েই আপনিও আপনার স্মার্টফোন দিয়ে সহজেই আয় করতে পারবেন। কিন্তু সেরকম কাজ করার মতো ওয়েবসাইটগুলো সম্পর্কে অনেকেই জানে না।
বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে
আপনি সহজেই আপনার স্মার্টফোনটিকে টাকা আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন-
১. Sproutgigs
২. Freecash
৩. Shutterstock
৪. Adobe Stock
৫. Graphicriver
৬. Storyblocks
কিভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করবেন?
এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের এসকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে এবং কিভাবে এই সাইটগুলোতে কাজ করে আয় করতে পারবেন সে সম্পর্কেও ধারণা দিবো এবং সাথে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়ের কিছু বিশেষ এবং জনপ্রিয় উপায়ও বিস্তারিতভাবে বলে দিবো।
১. Sproutgigs
(http://sproutgigs.com) এই সাইটিতে সাইন আপ করে খুব সহজেই ছোট ছোট কিছু কাজ করে আপনি কয়েক ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এই সাইটে বিভিন্ন গ্রাহক নির্দিষ্ট সংখ্যক কাজ দিয়ে রাখেন, আপনি সেই কাজগুলো তাদের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে সাথে স্ক্রিনশর্ট জমা দিয়ে পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। নিচের স্ক্রিনশর্টটিতে কাজ কিভাবে করতে হয় তার ধারণা দেয়া রয়েছে।
আপনি যদি ওয়েব সাইটটিতে সাইন আপ করে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, তাহলে
ওয়েব সাইটের হোমপেজের সাইড বার থেকে MircoJobs এর Find Jobs-এ গেলেই অনেক কাজ দেখতে
পাবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে কিছু স্ক্রিনশর্ট দিয়েছি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই সাইট থেকে টাকা উঠানোর জন্য আপনাকে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট রাখতে হবে।
২. Freecash
(http://freecash.com) বর্তমানে টাকা আয়ের বহুল কথিত কিছু উপায় হলো সার্ভে বা জরীপ করার মাধ্যমে আয়। তবে এ সব ওয়েবসাইটের বেশির ভাগই তেমন বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে, আমি এমন এক ওয়েব সাইট নিয়ে আপনাদের ধারণা দিবো যেটির সাহায্যে আপনি সার্ভে ও গেইম খেলার মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। এরকম একটি সাইট হলো-freecash.com।
এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বিভিন্ন আইপি প্যানেল তৈরি করে বিদেশী আইপি অ্যাড্রেস কিনতে হবে। কারণ এই সাইটটি বাংলাদেশি আইপি দেখলেই ব্লক করে দেয়। যদি যুক্তরাষ্ট্রের একটা আইপি কিনে আপনি যদি একটি প্রোফাইল খুলেন, তাহলে আপনি খুব সহজেই বিভিন্নি সার্ভেতে অংশ নিয়েই আপনার মোবাইল থেকেই আয় করতে পারবেন।
আর এসব কাজ করে যেই কয়েনগুলো আপনি পাবেন সেগুলো থেকে
ডলার হিসেবে টাকা উইথড্র করতে পারবেন।
সাধারণত সার্ভে ছাড়াও এই ওয়েব সাইট থেকে অন্য উপায়ে যদি আপনি আয় করতে চান, তাহলে কিছু অ্যাপ ব্যবহার করতে হয় বিভিন্ন কারণে- ভিডিও দেখা, গেইম খেলা ইত্যাদি। নিচে সে সব অ্যাপ গুলোর একটি স্ক্রিনশর্ট দিলাম।
৩. Shutterstock
(http://shutterstock.com) এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত এক ওয়েবসাইট, যেখানে ছবি ক্রয়-বিক্রয়
করা হয়। এছাড়া অনেক সময় গ্রাফিক্যাল ডিজাইনও বিক্রি করা হয়। আপনি যদি কোনো জিনিসের
খুব ভালো ছবি তুলতে পারেন যেটা অন্য মানুষ কিনতে চায়, তাহলে সেই ছবির বিনিময়ে আপনি
অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আর সেটাও পারবেন শুধু আপনার ছবি তোলার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে। বর্তমানে Snapseed অ্যাপের সাহায্যে খুব সহজেই স্মার্টফোন দিয়েই ছবি করে এখানে আপলোড করতে পারবেন।
৪. Adobe Stock
(http://Stock.adobe.com) এই সাইটের নাম থেকেই হয়তো আপনি কিছুটা মিল খুজে পাচ্ছেন অ্যাডোবি
ফটোশপ, অ্যাডোবি ইল্সট্রাটরের সাথে। এখানেও আপনি ছবি বা ডিজাইন বিক্রি করতে পারবেন।
তবে এসবের জন্য আপনাকে একটু ধারণা রাখতে হবে যে কোন বিষয় নিয়ে বর্তমানে ছবি বেশি বিক্রয়
হচ্ছে। তাহলে আপনি খুব সহজেই মার্কেট প্লেস দখল করতে পারবেন শুধু মোবাইল ফোন দিয়েই।
৫.
Graphicriver- Envato Market Place এর এই সাইটেও (http://Graphicriver.net) আপনি ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে
আয় করতে পারবেন। কিন্তু এই সাইটায় আপনার প্রতিযোগি তুলনামূলক বেশি।
৬. Storyblocks
(http://storyblocks.com) আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ফুটেজ ও ভিডিওগ্রাফির কাজ করে থাকি, এগুলোও বিক্রি
করা যায় এই সাইট থেকে।
আপনি
আরও কিছু খুব পরিচিত উপায়ে স্মার্টফোনের মাধ্যমেই আয় করতে পারেন। যেগুলোতেও আপনি আপনার
মেধা ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে অল্প সময়েই আয় করতে পারবেন। এ রকম কিছু প্লাটফরম হলো-
১.
ইউটিউব- আপনি মোবাইল ফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও তৈরি ও এডিট করে ইউটিউবে আপলোড করে এবং গুগল অ্যাডসেন্স
মনিটাইজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
২.
ব্লগিং- আপনি স্মার্ট ফোনের সাহায্যে ব্লগিং বা লেখালেখি করেও টাকা আয় করতে পারেন।
তবে আপনার ব্লগ সাইটটিকেও গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল নিতে হবে। এতে আপনার লেখা ব্লগে
বিভিন্ন অ্যাড দেখিয়ে আপনাকে সেই অ্যাডে ক্লিকের ভিত্তিতে টাকা আয়ের সুযোগ করে দিবে।
এছাড়া বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট পোস্টিংয়ের মাধ্যমেও আয়ের সুযোগ রয়েছে।
৩.
ফ্রিল্যান্সিং- ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে কিছু বিষয়ে দক্ষতা
অর্জন করে কাজ করতে হবে। যেমন- গ্রাফিক ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং,
ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ের ওপর স্কিল অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
আমার মতামত
সবকিছুর জন্য ধৈর্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে আয় করতে হলে প্রথম শর্ত হচ্ছে ধৈর্য ধরে লেগে থাকা। তাই, দক্ষতা অর্জন করুন ঠিকভাবে, সফলতা একদিন ধরা দিবেই।