কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং জগতে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে যে অনেক টাকা আয় করা যায় সেটি অনেকেরই জানা। কিন্তু এই আর্টিকেল কি ধরনের বিষয়- সেটি অনেকেই জানে না। তাদের জানার সুবিধার্থে বলছি, ব্লগ আর্টিকেল বা অনুচ্ছেদ হলো কোনো বিষয়বস্তুর উপর বিশ্লেষণ করে অনলাইনে বা প্রিন্টেড কোনো লিখিত কপি। আর্টিকেল রাইটিং টিপসের এই আর্টিকেল বা পোস্ট থেকে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে আর্টিকেল SEO করতে হয় ও কিভাবে কোয়ালিটিফুল বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয়। এটি শেখার ফলে আপনি নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখালেখি শুরু করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এছাড়া পুরো পোস্ট পড়ে শেষ করার পর engineersimple.info ওয়েব সাইটটি থেকে ৪০০০/- টাকা বেতনে আর্টিকেল লিখে আয়ও করতে পারবেন।
আর্টিকেল লেখার সেরা নিয়মসমূহ
বাংলা বা ইংরেজি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
কোন টিপসগুলো অনুসরণ করে আর্টিকেল লিখলে আপনিও ফ্রিল্যান্সারদের মতো অনেক টাকা আয় করতে পারবেন সেই টিপসগুলোই এই পোস্টে বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করবো। এই পোস্টে কিভাবে সহজেই বাংলা এবং ইংরেজি আর্টিকেল লিখার নিয়ম শিখতে পারবেন। শুরুতে প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং টিপস দেখানো হবে। আর শেষে এডভান্স কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় উদাহরণসহ উল্লেখ করা হয়েছে।[বি:দ্র: এখানে স্ক্রিনশটগুলো ব্লগার প্লাটফর্মের আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো দেখানো হয়েছে। কিন্তু মূল বিষয়গুলো সকল প্লাটফর্মেই একই রকম]
স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম
বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব বা ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং করতে হলে কিভাবে প্রফেশনাল স্ক্রিনশট নিতে হয় সেটি জানতেই হবে। যেকোনো কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে স্ক্রিনশট পিকচারে কোন অতিরিক্ত অংশ যেন না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ছবিতে অপ্রয়োজনীয় অংশ থাকলে তা কেটে বাদ দিতে হবে।
নিচের স্ক্রিনশট দুটি দেখেই বুঝতে পারবেন যে প্রফেশনাল স্ক্রিনশট দেখতে কেমন হয়ে থাকে। স্ক্রিনশট ইমেজের কোন অংশে পাঠকের দৃষ্টি ফোকাস করতে চাচ্ছেন তা লাল কালি দিয়ে মার্ক করে দেখানো খুবই ভাল প্র্যাকটিস।[Zoomit অ্যাপলিকেশনটি ব্যবহার করলে আপনিও স্ক্রিনশটের মতো বিভিন্ন আকারের দ্বারা মার্ক করতে পারবেন] এতে আপনার আর্টিকেলের কন্সেপ্ট বুঝতে পাঠকের সুবিধা হবে।
নিচের ছবিটি দেখুন:
এখানে উপরের স্ক্রিনশটটি ভালমতো দেখলেই বুঝবেন যে পুরো স্ক্রিনের পিকচারই স্ক্রিনশট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা মোটেও দেখতে প্রফেশনাল লাগছে না । উপরের ছবিটির অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে দিলে এবং মার্ক করে দিয়ে কেমন লাগবে দেখুন নিচের ছবিতে:
এখন উপরের ছবিতে যে স্ক্রিনশট ইমেজটি দেখতে পাচ্ছেন এটিই একটি প্রফেশনাল স্ক্রিনশট নেওয়ার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। এভাবে লেখা কন্টেন্ট আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। কন্টেন্ট লেখার সময় ব্যবহৃত ছবির সাইজ সবসময় অর্জিনাল দেবার চেষ্টা করবেন।
ইউনিক ইমেজের ব্যবহার
আর্টিকেল রাইটিং করার ক্ষেত্রে, অনেকেই সময় বাঁচানোর জন্য অনলাইন থেকে ছবি ডাউনলোড করে সরাসরি আর্টিকেলের মধ্যে আপলোড করে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন যারা ছবি ডাউনলোড না করে সময় বাঁচানোর জন্য ছবির সোর্স লিংকিং করে পোস্টের মধ্যে ব্যবহার করে থাকেন।
SEO জগতে এই কাজগুলো করা অনেক বড় রকমের ভুল, কারণ- সোর্স ওয়েবসাইটের মালিক সেই পোস্টটি বা ছবিটি রিমুভ করে দিলেই আপনার লেখা আর্টিকেলে আর ছবিটি থাকবে না এবং কপিরাইট নীতিমালার কারণে আপনার ওয়েব সাইটটি গুগল পেনাল্টি দিতে পারে। তাই, আর্টিকেল লেখার সময় ইউনিক ছবির ব্যবহারের বিষয়টিতে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন।
(Creative Commons licenses)ক্রিয়েটিভ কমনস লাইসেন্সয়ের ছবি ব্যবহার
যেকোনো ধরনের আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, অন্য কোনো ওয়েবসাইটে যুক্ত ছবি ডাউনলোড করে সরাসরি নিজ আর্টিকেলের মধ্যে কখনোই আপলোড করা যাবে না। ছবি খোঁজার ক্ষেত্রে সব সময় ক্রিয়েটিভ কমনস লাইসেন্স ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে।
উপরের ইমেজটিতে লক্ষ্য করুন টুলস(Tools) থেকে ক্রিয়েটিভ কমনস লাইসেন্স(Creative Commons licenses) অপশনটি সিলেক্ট করলেই যে ব্যবহারের মোটামোটি অনুমতি রয়েছে বা কপিরাইটের সমস্যা নেই সেগুলো চলে এসেছে। আর্টিকেল লেখার সময় এভাবেই ছবি খুজে বের করবেন।
লাইন গ্যাপ দিয়ে বাংলা কনটেন্ট রাইটিং
আমি অনেক ব্লগ রাইটারকে দুই প্যারাগ্রাফের মধ্যে কয়েক লাইন গ্যাপ ব্যবহার করতে দেখেছি। এটি সঠিক পদ্ধতি নয়। যে কোনো আর্টিকেল লেখার সময় সর্বোচ্চ ১ লাইন গ্যাপ ব্যবহার করবেন।
পোস্ট ফরম্যাটিং
একটি সুন্দর আর্টিকেল লেখার প্রথম নিয়ম হলো সুন্দর করে আর্টিকেল ফরম্যাটিং করা। পুরো আর্টিকেলের লিখার এলাইনমেন্ট জাস্টিফাই ও আর্টিকেলের মধ্যের ছবির এলাইনমেন্ট সেন্টার ব্যবহার করা উচিত। এই ব্যাপারগুলিতে গুরুত্ব দিলে আর্টিকেল রাইটিং জব করতে তেমন সমস্যা পোহাতে হবে না।
সূচিপত্র
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় যতগুলো আছে তার মধ্যে এটি অন্যতম সেরা। এই পোস্টটির শুরুতেই টেবিল অফ কন্টেন্টের মাধ্যমে সূচিপত্র দেওয়া আছে।
কোনো আর্টিকেলের শুরুতে সূচিপত্র দেখেই সহজেই পুরো পোস্ট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু খুব সহজেই খুঁজে পেতে পারবেন এবং উক্ত লিখার ওপর চাপ দিয়েই সেই বিষয়ে পড়তে পারেন। সূচিপত্র কিভাবে যোগ করবেন তা জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আরো পড়ুন সেকশন যোগ করা
অনেক আর্টিকেলের মধ্যে নিচের স্ক্রিনশটের মত দেখবেন যেখানে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পোস্টের লিংক করা থাকে।
আপনি যে সাইটে পোস্ট লিখছেন সেই সাইটের প্রতিটা পোস্টের মধ্যেই আপনি এভাবে উক্ত সাইটের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক লিংক যুক্ত করে দেবেন। এতে করে পাঠক এক পোস্ট পড়তে গিয়ে আরেক পোস্ট পড়তে পারেন। এতে করে পাঠককে একটি লুপের মধ্যে ফেলা দেওয়া সম্ভব। ফলে পাঠক একটি সাইটের ১ টা পোস্ট পড়তে এসে অনেক পোস্ট পড়লে সাইটের আয় বৃদ্ধি পাবে।
আর্টিকেলে আকর্ষণীয় ডাউনলোড লিংক যুক্ত করা
বিভিন্ন আর্টিকেলে দেখবেন অন্য পেইজের লিংক বা ডাউনলোড লিংক ইমেজ বা বাটনের মত দেখায় যা দেখতে খুবই সুন্দর ও মানানসই। আপনিও এভাবে ডাউনলোড লিংক যুক্ত করবেন । যেমনটা নিচের চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন:
ফোকাস কিওয়ার্ডের ওপর কন্টেন্ট রাইটিং
ফোকাস কিওয়ার্ড হলো কোনো আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু। ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়া কোন আর্টিকেল সাধারণত গুগলে সার্চের প্রথম পেইজে বা সার্পে আসে না। চলুন ফোকাস কিওয়ার্ডের বিষয়টি একটু সহজভাবে বুঝিয়ে দেই। মনে করুন, কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি বের করতে হয়- আপনি তা জানেন না, তাহলে তা কিভাবে শিখবেন? সেটির জন্য সাধারণত আপনি হয়তো গুগলে বা ইউটিউবে সার্চ দিয়ে শিখে নেবেন। আপাতত ইউটিউবের বিষয়টি বাদ রেখে বলুনতো গুগলে কি লিখে সার্চ দেবেন। নিশ্চয় "মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি বের করার নিয়ম" বা "কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি বের করবো?" এভাবে লিখে সার্চ দেবেন। এখানে "মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি বের করার নিয়ম" বা "কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি বের করবো?"- এগুলোই হলো ফোকাস কিওয়ার্ড।
অর্থাৎ, বুঝতেই পারছেন যে, আপনি যে বিষয়ে পোস্ট লিখছেন সেই ব্যাপারে জানার জন্য যা লিখে মানুষ গুগলে সার্চ করবে সেটাকেই ফোকাস কিওয়ার্ড বলা হয়। একটি বিষয়ে জানার জন্য অনেকগুলো ফোকাস কিওয়ার্ড মানুষ ব্যবহার করে । আরো একটি সহজ উদাহরণ হলো- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই এবং ডাউনলোড করতে যা লিখে গুগলে সার্চ করবেন। আমি নিচে এ সম্পর্কিত কয়েকটি ফোকাস কিওয়ার্ডের তালিকা নিচে দিয়েছি-
জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড
জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই
একটি পোস্টে ১ টি ফোকাস কিওয়ার্ড অন্তত ৮ থেকে ১০ বার পোস্টের বিভিন্ন অংশে রাখা উচিত। কিন্তু একাধিক ফোকাস কিওয়ার্ড যুক্ত কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে, সেই পোস্টের মধ্যে প্রতিটি ফোকাস কিওয়ার্ড একাধিকবার রাখতে হবে। ফোকাস কিওয়ার্ড যেন পোস্টের টাইটেল, ফিচার ইমেজ, অন্যান্য ইমেজ, পোস্টের প্রথম প্যারা, অন্যান্য প্যারাগ্রাফের শিরোনাম ও প্যারার মধ্যে অবশ্যই রাখতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, পোস্টের এসব স্থানে ফোকাস কিওয়ার্ড ইচ্ছে মতো অপ্রাসঙ্গিকভাবে যেন না বসে।
আর্টিকেলটি ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও না লিখে রাখা
অনেকেই মূল ওয়েবসাইটে পোস্ট না লিখে শুরুতে বিভিন্ন জায়গায় লিখে রাখে এরপর সেখান থেকে কপি করে সাইটের মধ্যে পেস্ট করে। যেমন- কেউ মোবাইলের নোটপ্যাডে লিখে রাখে অথবা অনেকে কম্পিউটারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে রাখে। পরবর্তীতে সেটা কপি করে ওয়েবসাইটে গিয়ে পেস্ট করে পাবলিশ করে দেয়।
এভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মত প্রোগ্রামে পোস্ট লিখে সেভ করে রাখলে পরবর্তীতে কপি করার সময় সেখানকার প্রিফরম্যাটও কপি হয়ে যায় । এটির কারণে ওয়েবসাইটে লিখা পেস্ট করার পর অনেক সময় ফন্ট পরিবর্তন হওয়া থেকে শুরু করে আপনার লেখা আর্টিকেলের বিভিন্ন লাইনের শব্দের মধ্যে অনাকঙ্খিত ফাঁকা বা ছোটবড় জনিত বিভিন্ন ফরম্যাটিং সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও পোস্ট লিখে সেভ করে রাখবেন না।
নতুন আর্টিকেলের ইমেইল নোটিফিকেশন
প্রতিটি ওয়েবসাইটেই নতুন আর্টিকেল প্রকাশের পর ইমেইল নোটিফিকেশন সেন্ড করার ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে পাঠকরা নতুন পোস্টের এলার্ট সহজেই পেয়ে যায়।
আপনারা যারা engineersimple.info ওয়েব সাইটটির নতুন পোস্টের অপেক্ষায় থাকেন পড়ার জন্য বা শেয়ার করার জন্য তারা ওয়েবসাইটের নিচে গিয়ে ইমেইল ঠিকানা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে নিন। এরপর নতুন কোন পোস্ট সাইটে পাবলিশ হলেই ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন এলার্ট পেয়ে যাবেন।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম
মনে করুন আপনি এখন একজন প্রফেশনাল ব্লগার, EngineerSimple Info টিম আপনাকে ২০২৩ সালের সেরা ১০ টি ফ্রি VPN সম্পর্কে একটি বাংলা আর্টিকেল লিখতে বলেছে। তাহলে ভেবে দেখুন তো, আপনি এই পোস্টটি কিভাবে লিখবেন? কিভাবে ফরম্যাটিং করবেন? পোস্টের মধ্যে আপনার ভাষার উপস্থাপন কেমন হবে? কী ধরণের বর্ণনা পোস্টের মধ্যে রাখবেন?
কি? প্রশ্নগুলো শুনে হয়তো কনফিউশনে পড়ে গিয়েছেন? তাহলে চলুন আপনার কনফিউশনগুলোর সমাধান বের করি।
মনে করুন, ২০২৩ সালের সেরা ১০ টি ফ্রি VPN সম্পর্কে অন্য কারো একটি বাংলা পোস্ট আপনি পড়ছেন। তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন তার পোস্টটি পাঠক হিসেবে আপনার কাছে পার্ফেক্ট কি না?
পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা আর্টিকেল
বর্তমানে প্রায় সকল পাঠকের মনোযোগ খুবই কম। তাই, সবচেয়ে ভালো আর্টিকেল লেখার একটি অত্যাবশ্যকীয় নিয়ম হলো আর্টিকেলের শুরুতে সুন্দর করে বা আকর্ষণীয় একটি ভূমিকা লিখে রাখা, যাতে করে পাঠকগণ বুঝতে পারেন নিচের পুরো আর্টিকেলে কোন বিষয়গুলো আলোচনা করা রয়েছে। আর্টিকেল লেখার শুরুতেই যদি ভেতরে কি আছে না আছে সে বিষয়ে যদি পাঠক একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যায় তাহলে তার নিশ্চয় ভাল লাগবে।
এরপর যখন আর্টিকেলের বা পোস্ট পড়া শুরু করবেন। তখন যদি দেখেন প্রত্যেকটা VPN এর তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য সুবিধা অসুবিধাসহ বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে এবং সেই সাথে প্রত্যেকটা VPN এর ডাউনলোড লিংকও দেয়া রয়েছে, তাহলে অবশ্যই নিশ্চয় আপনারও ভাল লাগবে।
আর পোস্টের শেষে যদি লেখকের ব্যাক্তিগত মতামত দেখতে পান যে, তার কাছে এগুলোর মধ্যে কোন ভিপিএনটি সবচেয়ে সেরা তাহলে এবার নিশ্চয় আপনার আরো ভাল লাগবে। তাই না? পাঠক হিসেবে একটি আর্টিকেলের বা পোস্ট থেকে আপনি যে বিষয়গুলো আশা করেন সেগুলোই যদি আপনি একটি পোস্টে উপস্থাপন করতে পারেন কেবল তাহলেই আপনার পোস্ট লিখা স্বার্থক হবে।
তাহলে চলুন প্রথমেই জানি আপনি কিভাবে আর্টিকেল পোস্টটি লিখা শুরু করবেন।
আর্টিকেলের টাইটেল
একটি আর্টিকেলের বা পোস্টের টাইটেল বা শিরোনাম যেন ৫ থেকে ৯ শব্দের মধ্যে হয় এবং পোস্ট শিরোনাম পড়েই যেন বোঝা যায় পুরো পোস্টে কি থাকছে? যদি আপনার পোস্ট শিরোনামটি পাঠকদের পছন্দ না হয়, প্রতি ১০ জন পাঠকের মধ্যে ৮ জন পাঠকই শুধুমাত্র পোস্টটির শিরোনাম পড়েই পোস্ট না পড়ে অন্য কোথাও চলে যায়। কি, কিভাবে, যেভাবে? কিংবা লিস্ট অথবা তালিকাভিত্তিক শব্দ যেমন: ৫ টি ১০ টি ইত্যাদি পোস্ট শিরোনামে রাখলে পাঠকরা আর্টিকেল পড়তে আকৃষ্ট হয়ে থাকে।
আর্টিকেলের ভূমিকা
আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম হলো, কোনো আর্টিকেলের বা পোস্টের শুরুতেই ৪/৫ লাইনের একটি আকর্ষণীয় ভূমিকা লিখবেন যেন পাঠক পোস্টের শুরুর প্যারা বা ভূমিকা পড়েই বুঝতে পারে যে পুরো পোস্টের মধ্যে সে কোন বিষয়গুলো জানতে পারবে। অনেক পাঠকই রয়েছেন যারা শুধুমাত্র ভুমিকা পড়ার পর আর পোস্ট পড়ে না। তাই, ভূমিকাতেই পুরো আর্টিকেলের মূল কন্সেপ্টটি তুলে ধরার চেষ্ঠা করবেন। আপনার প্রথম আর্টিকেল লেখা শুরু করার সময় এটি অনুসরণ করা একটু কঠিন হলেও ধীরে ধীরে আপনার দক্ষতা বেড়ে যাবে।
ফিচার ইমেজ
প্রত্যেকটি আর্টিকেলের বা পোস্টের ভেতরেই নুন্যতম একটি প্রাসংগিক ফিচার ইমেজ রাখতে হবে। একটি ইমেজই কোন পোস্টকে অনেক অর্থবোধক করে তুলে ধরে। পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন পড়তে চায় না। আর্টিকেলের প্রাসঙ্গিক পিকচারও দেখতে চায়। তাই পোস্টে পিকচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করবেন না। টাইটেল ও ফিচার ইমেজের টেক্সটে যেন ভিন্নতা থাকে।
সাবহেডিং বা প্যারাগ্রাফ শিরোনাম
তারপর পুরো পোস্টটি আপনি ছোট ছোট প্যারা করে লিখবেন এবং চেষ্ঠা করবেন প্রতিটি প্যারাগ্রাফের শিরোনাম হিসেবে সাবহেডিং ব্যবহার করার। যাতে পাঠকরা বুঝতে পারে কোন প্যারাতে কি সম্পর্কে লিখা রয়েছে। কোনো প্যারা তুলনামূলক ছোট হলে আর্টিকেল সুন্দর দেখায়। চেষ্টা করবেন প্রতিটি প্যারার মধ্যে যেন গড়ে ৫ লাইন লিখা থাকে। যদি কোন প্যারাতে অনেক বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটি কয়েকটি প্যারাতে ভাগ করে করে লিখুন। একটি শিরোনাম বা সাবহেডিং এর মধ্যে ৩ টির বেশি প্যারাগ্রাফ রাখা উচিত নয়।
আর্টিকেল বিষয়বস্তুর বর্ণনা
একটি নিখুঁত ও পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেলে সর্বনিম্ন ৫ টি প্যারাগ্রাফ শিরোনাম বা সাবহেডিং রাখা উচিত এবং একটি পোস্টে নূন্যতম ১০ টি প্যারা রাখা উচিত। একটি পোস্টে সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ বা এর চেয়েও বেশি শব্দ ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কোন কিছুর বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা-অসুবিধা লিখার সময় সেগুলো প্যারাগ্রাফের মত লাইনের পর লাইন না লিখে বুলেট লিস্ট আকারে লেখার চেষ্ঠা করবেন। একটি পোস্টের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাসঙ্গিক পোস্টের লিংক রাখা উচিত যেন পাঠকরা সে ব্যাপারে আরো বিস্তারিত ধারণা পায়।
আর্টিকেলে আপনি, আমি সর্বনাম ব্যবহার
ব্লগ লেখনীতে এমনভাবে আর্টিকেল লেখা থাকে যেখানে মনে হবে আপনি পাঠকদের সাথে গল্প করছেন। তাই যখন কোন পোস্ট লিখবেন তখন আপনি / আমি এমন ধরনের সর্বনাম জাতীয় শব্দের ব্যবহার বেশি করবেন যেন পাঠকরা মনে হয় আপনি তাদের সাথে গল্প করছেন। আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলোর মধ্যে ব্লগিং এটি একটি সেরা স্টাইল।
ফোকাস কিওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার
পুরো পোস্টের অন্তত একটি এবং সর্বোচ্চ ৩ টি ফোকাস কীওয়ার্ড নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন। যেমন: “২০২৩ সালের সেরা ১০ টি ফ্রি VPN” পোস্টের ফোকাস কীওয়ার্ড হলো সেরা VPN বা সেরা ফ্রি VPN। এর পর চেষ্টা করুন সেই ফোকাস কীওয়ার্ডটা যেন পুরো পোস্টে নূন্যতম ১০/১৫ জায়গায় থাকে। লক্ষ্য করুন, মানুষ যখন VPN সম্পর্কে গুগলে সার্চ দেয় তখন অনেকেই বাংলাতে ভিপিএন লিখে আবার অনেকেই ইংরেজিতে VPN লিখে। আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এমন একটি ফোকাস কী ওয়ার্ড পেয়েছেন যেটি লিখে মানুষ গুগলে সার্চ দেয়ার সময় বাংলা, ইংরেজি দুই ভাবেই লিখে তাহলে আপনার পোস্টের মধ্যে সে কিওয়ার্ডটি দুই ভাবেই রাখুন। যেমন- এই পোস্টে বাংলায় ভিপিএন লিখার সাথে ইংরেজিতেও VPN লিখুন।
কেন আর্টিকেলে ফোকাস কীওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ ?
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক যে, ফোকাস কীওয়ার্ডগুলোকে পোস্টের মধ্যে এতবার লিখতে হবে কেন? উত্তরটি হচ্ছে মানুষ যখন কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ দেয় তখন গুগলের সার্চ অ্যালগরিদম খুজে দেখে মানুষের লিখা ফোকাস কীওয়ার্ডটি প্রাসংগিকভাবে কোন ওয়েবসাইটের পোস্টে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। তখন গুগল যে ওয়েবসাইটের পোস্টকে বেশি প্রাসঙ্গিক মনে করে সেটিকেই সার্চ রেজাল্টের শুরুতে দেখায়। তাই আপনাকে অবশ্যই ফোকাস কীওয়ার্ডের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
আর্টিকেল অ্যালাইনমেন্ট
পোস্টের ভেতরে পিকচারগুলো সেন্টার অ্যালাইনমেন্টে রাখবেন এবং লিখাগুলোকে নিচের স্ক্রিনশটের মতো জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্টে রাখবেন যাতে দেখতে বইয়ের লিখার মত মনে হয়।
উপসংহার
পুরো আর্টিকেল লেখার শেষে আপনার ব্যাক্তিগত মতামত দিয়ে চার থেকে পাঁচ লাইনের উপসংহার লিখা উচিত, যেন পোস্টের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে পাঠকরা আপনার বা লেখকের মতামত পায়। একটি আদর্শ আর্টিকেল দেখতে কেমন তা জানতে এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন।