স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর চোখের সুরক্ষায় যা করণীয়:
প্রতিনিয়ত বাড়ছে মোবাইল এর ব্যবহার। প্রতিটি কাজেই এখন চাই স্মার্টফোন মোবাইল ফোন। চিকিৎসকরা বলছেন, টানা স্মার্টফোন ব্যবহারে এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
যে সব উপায় অবলম্বন করে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে চোখ সুরক্ষিত থাকবে
প্রথমত, আপনি চাইলেই আপনার ফোন থেকে নীল আলোর নিঃসরণ কমাতে পারবেন। সেই জন্য আপনার ফোন থেকে সেটিংস অপশনে গিয়ে ডিসপ্লে এর মধ্যে থেকে আপনি ডার্ক মোড অথবা ডার্ক থিম চালু করতে হবে। এতে আপনার মোবাইল ফোনের স্ক্রিন কালো এবং লেখা সাদা রঙ্গে দেখা যায়।
মোবাইল ফোনের ব্রাইটনেস খুব বেশি বা খুব কম হলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই পরিবেশের আলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস ঠিক রাখা উচিত। সেই ক্ষেত্রে অটো ব্রাইটনেস দিয়ে রাখা উচিত। চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখে নিয়মিত পলক ফেলার ফলে। যা চোখের উপর চাপ কমায়।
স্মার্ট ফোন ব্যবহারের সময় প্রতি আধা ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ বার চোখের পলক ফেলতে হয়। প্রতিবার এক সেকেন্ড সময় ধরে পলক ফেলা উচিত।
স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি হতে পারে স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করার মাধ্যমে। এন্ড্রয়েড এবং আই.ও.এস সেটিংস এর মাধ্যমে এটি ঠিক করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য নাইট লাইট এবং আইফোনের জন্য নাইট শিফট সুবিধাটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিনের কালার এবং ব্রাইটনেসের সামঞ্জস্যতা আসে।
দীর্ঘ সময় স্মার্টফোনের লেখা পড়ার কারণে চোখের উপর চাপ পড়ে। সেই ক্ষেত্রে ফোনের লেখার আকার বা ফন্ট সাইজ বড় রাখা ভালো। তাহলে লেখা সহজে পড়া যায়। সব সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করে এর স্ক্রিন নোংরাও হয় অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও চলে আসে। তাছাড়া অপরিচ্ছন্ন এই স্ক্রিন আমাদের চোখের উপর চাপ ফেলে।
চোখ সুরক্ষিত রাখতে স্মার্টফোন ব্যবহারে ২০/২০/২০ নিয়মটি অনুসরণ করা যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের জন্য অন্তত ২০ ফুট দূরের কিছু দেখতে হবে। এটি আপনার চোখ সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।