যে গ্রামের মানুষ এখনও প্রাণিদের মত চার হাত পায়ে হাটে!!!

যে গ্রামের মানুষ এখনও প্রাণিদের মত চার হাত পায়ে হাটে

যে গ্রামের মানুষ এখনও প্রাণিদের মত চার হাত পায়ে হাটে:

বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গ্রামটি, চার হাত-পা এক করে হেঁটে আসে মানুষ। গ্রামটির অবস্থান তুরস্কের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে।  যে গ্রামের সাথে যোগাযোগ নেই বিশ্বের কারো, পরিবহন ব্যবস্থাতেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। স্বাভাবিক যা কিছু সুন্দর তা তাদের জানার বাইরে, জন্মের পদ্ধতি-গর্ভ ধারন চলে নিজেদের মধ্যে। গোটা একটা গ্রামের মানুষ বিয়ে করছে একে অপরকে, অন্তঃপ্রয়োজনের পরিণতি সম্পর্কে মানুষগুলোর জ্ঞানও নেই, জানার আগ্রহও নেই। জন্ম হওয়ার মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধী সংখ্যা অনেক। তেমনি মানুষগুলো জানে না যে দুই পায়ে হাঁটা যায়, কখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে শিখেনি কেউ দেখেনি কাউকে এভাবে হাঁটতে। নিজেদের মধ্যে বিয়ে করাতে বাইরের কারো জিনও মিশতে পারে না। তবে এটা সত্যি তাদের এই চার হাত-পা হামাগুড়ি দেওয়া আমাদের স্বাভাবিক চলাফেরা গতির মতই। তাদের কাছে এটাই নাকি হাঁটার সঠিক উপায়। গ্রামের প্রবীণ প্রজন্ম থেকে নবীন প্রজন্ম, এই শিক্ষায় পেয়ে কেটে সারা জীবন।

শারীরিক গঠন

হামাগুড়ির কারণে এই গ্রামের মানুষ গুলোর শারীরিক গঠন স্বাভাবিক মানুষের মতো নেই। বহু বছরের হামাগুড়ির অভ্যাসের কারণে পায়ের চামড়ার মতো পুরো হয়ে উঠেছে হাতের চামড়া ও বেঁকে গেছে পিঠ এবং কোমরের হাড় প্রশস্ত হয়ে গেছে নিতম্ব। বিচ্ছিন্ন গ্রামের সংবাদ সংগ্রহ করতে অনেক গণমাধ্যম পাড়ি জমান গ্রামটিতে। চীনা সংবাদ মাধ্যম এখানকার খাবার, পানি নিয়ে গবেষণা করলেও পাইনি কিছু। উল্টো গবেষণায় জানা গেছে, মানুষগুলো গড় আয়ু খুব কম গ্রামের সবচেয়ে সুস্বাস্থ্য শারীরিক শক্তি সম্পন্ন মানুষের গড় আয়ু সাধারণ মানুষের চাইতে দশ বছর কম। এদের মস্তিষ্কের ধরণ সাধারণ মানুষ থেকে একদম আলাদা। সাথে ভিন্নতা তাদের মানসিকতাও। কথা বলে খুবই আস্তে, কোন কিছু নিয়ে প্রতিক্রিয়া অস্পষ্ট। বিশেষজ্ঞরা এই গ্রামের মানুষের মধ্যে পেয়েছেন সেরেবিয়ার অ্যাটাকসিয়া নামক শরীরে ভারসাম্য করা মস্তিষ্কের রোগ। আবার এরোগ ছাড়া জন্ম নিয়েছে অনেক শিশু, এর কারণ অভ্যস্ততা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম, জন্মের পর রপ্ত করে নিয়েছে চার হাত পায়ে হাঁটা। বাবা মায়েরাও সন্তানকে হামাগুড়ি দিতে শেখায়। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, সিঁড়ি ব্যবহারের সময় হামাগুড়ি তাদের প্রথম পছন্দ। যাতে তাদের কোন অস্বস্তি দেখা দেয়নি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url