চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা ইফতারে খেজুর খাওয়ার উপকারিতাগুলো কি কি?
চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইফতারে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। খেজুরের মধ্যে পুষ্টি উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে-
৪৪-৮৮% কার্বোহাইড্রেট
৬.৪-১১.৫%
ফাইবার
৫.৬% প্রোটিন
০.৫% ফ্যাট
দেখা যাচ্ছে যে, খেজুরের মধ্যে উচ্চ মাত্রার কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং খুব অল্প মাত্রায় ফ্যাটের উপস্থিতি। এটিতে উচ্চ মাত্রার কার্বোহাইড্রেট থাকায় এটি শরীরে শক্তির ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। ইফতারে শুধু খেজুর আর পানি পান করেই আপনি পর্যাপ্ত শক্তি পেতে পারবেন। ১৫ প্রকার খনিজ লবণ, ৬ প্রকারের ভিটামিনও থাকে। এছাড়াও খেজুর আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ।
একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও আয়রনের অন্যতম উৎস খেজুর প্রতিদিনের ইফতারে রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনি স্থুলতার হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই এই খেজুর থেকে মেলে। তবে ডায়াবেটিস রোগ থাকলে অনেক সময় প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুরকে ইফতারে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। শুকনো খেজুরেও শরীরের দরকারি খনিজ মেলে। ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা, খেজুরের শীর্ষ ৭টি উপকারিতা জেনে নিন-
১. খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধের
ক্ষমতা রাখে। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম রয়েছে। আঁশের জোগানও
যথেষ্ট। তাই এ ফল ইফতারে রাখতে পারলে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান সহজেই মেলে।
২. রক্তস্বল্পতা রয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে
খুবই প্রয়োজনীয়।
৩. চিনির অন্যতম সেরা বিকল্প খেজুরের রস
ও গুড়। খেজুরের গুড় চিনির পরিবর্তেও অনেক সময় ব্যবহার করা হয়।
৪. হৃদ স্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য
করে খেজুরের ভেতরে থাকা নানা খনিজ। তাই হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও এই ফল উপকারী।
৫. খেজুরে থাকা সোডিয়াম রক্তের চাপকে নিয়ন্ত্রণ
করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ইফতারে খেজুর রাখা উচিত।
৬. খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা
রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।