সাইকোলজি মানে কি?
সাইকোলজি শব্দটি আমরা অনেকেই শুনেছি। কিন্তু এই সাইকোলজি বলতে আসলে কি বোঝায়?
সাইকোলজি অর্থ মনোবিজ্ঞান। সাইকোলজি বলতে আচরণ এবং মানসিক ক্রিয়া যেমনঃ শেখা, চিন্তা করা, স্মৃতি, মনোযোগ ইত্যাদিকে বোঝায়।
সহজ ভাষায়, আমরা যা করি তা কেন করি এই প্রশ্নের মধ্যেই সাইকোলজির অর্থ আছে। যেমন আমরা অনেকে একা থাকতে, বই পড়তে পছন্দ করি। আবার অনেকে ঘুরে বেড়াতে, আড্ডা দিতে পছন্দ করি। মানুষের মন ও আচরণ কিভাবে কাজ করে সেটা জানার জন্যই সাইকোলজির উৎপত্তি।
শাব্দিক বিশ্লেষণ
সাইকোলজি একটি ইংরেজি শব্দ। ইংরেজি Psychology শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Psyche এবং Logos থেকে 'Psyche' এর অর্থ আত্মা বা মন। 'Logos' শব্দের অর্থ বিজ্ঞান বা যুক্তিপূর্ণ তথ্য। অর্থাৎ সাইকোলজি শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো আত্মা বা মনের বিজ্ঞান।
কিন্তু আধুনিক সাইকোলজি মনের বিজ্ঞান নয়। আধুনিক মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মনোবিজ্ঞান প্রাণীর বিশেষ করে মানুষের আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়া সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
সাইকোলজির উৎপত্তি ইতিহাস
আমরা যদি মনোবিজ্ঞানের ইতিহাস অনুসন্ধান করি তবে আমরা দেখতে পাই যে পুর্বের মনোবিজ্ঞান ছিল দর্শনের শাখা যা এপিস্টোমোলজি বা জ্ঞানের তত্ত্ব নামে পরিচিত ছিল। সাইকোলজি শব্দটির প্রথম ব্যবহারের কথা বলতেই জার্মান স্কলাস্টিক দার্শনিক রুডলফ গকলের নামটি উঠে আসে, যিনি ১৫৯০ সালে সাইকোলজিয়া, হোক এস্ট ডি হোমিনিস পারফেকশন, অ্যানিমা, ওর্তু প্রকাশ করেছিলেন। রুডলফ গকেল প্রথমবারের মতো সাইকোলজি শব্দটি ব্যবহার করলেও মনোবিজ্ঞানের জনক অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরের শারীরবিজ্ঞানী ডা. সিগমুন্ড ফ্রয়েড। সিগমুন্ড ফ্রয়েড সাইকোডাইনামিক অ্যাপ্রোচ তৈরি করেছিলেন এবং এটি অচেতনের ওপর অনেক বেশি ফোকাস করে। সাধারণ জনগণ এটিকে ক্লিনিকাল সাইকোলজি এবং বিভিন্ন মানসিক রোগের চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে আজ অবধি যুক্ত করে।
কিন্তু সাইকোলজি সেই গ্রিক সভ্যতা থেকে চলে আসলেও এটি সাইন্টিফিক ক্ষেত্র হিসেবে কাজ শুরু করে ১৮৭৯ সালে যখন উইলহেল্ম সাইকোলজি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন।
এরপর Experimental Physiology এর জনক জোহান্স ম্যুলার ১৯৪০ সালে Handbook of Physiology নামে একটি বই রচনা করেন। তিনি প্রমাণ করেন, আমাদের কোন ধরনের সংবেদন এর উপলব্ধি ঘটবে তা নির্ভর করে কোন স্নায়ুটি উদ্দীপিত হয়েছে তার ওপর।
প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলই প্রথম মনোবিজ্ঞানকে পৃথক বিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি দেন। পরবর্তীতে সমগ্র বিশ্বজগৎকে ডেকার্তে জড়জগত ও মনোজগৎ এই দুইভাগে ভাগ করলেন এবং সেইমতো মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হলো মন ও মানসিক ক্রিয়া। এরপর লক,হবস,বেন প্রভৃতি দার্শনিকগন এই মতবাদকে বিশ্লেষণ করে বললেন, আমরা যা সচেতনভাবে প্রত্যক্ষন করি তা হলো চেতন মানস ক্রিয়া। এদের মতে মনোবিজ্ঞান হলো চেতনার বিজ্ঞান। পরবর্তীতে এই মতবাদকেও ভুল প্রমাণ করে একদল মনোবিজ্ঞানী মনোবিজ্ঞানের নতুন সংজ্ঞা দিলেন। তাদের মতে মনোবিজ্ঞান হলো প্রাণীর আচরণের বিজ্ঞান। স্থুলই হোক আর সূক্ষ্মই হোক, সব আচরণই নিরীক্ষণের অধীন। সুতরাং প্রাণীর আচরণের স্বরুপ বিশ্লেষণ ও সেগুলোর অন্তর্নিহিত মৌলিক সূত্রাবলীর উদঘাটনই মনোবিজ্ঞানের মূখ্য কাজ।
মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা
মনোবিজ্ঞান উৎপত্তির ইতিহাস থেকে দেখা যায়, এর সংজ্ঞা বিভিন্ন স্তরে এসে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে। এখানে আমরা ৪টি বিষয় দেখতে পাইঃ
১. আত্মার বিজ্ঞান
২. মনের বিজ্ঞান
৩. চেতনার বিজ্ঞান
৪. আচরণের বিজ্ঞান
এবারে আমরা জেনে নেব কে, কোন বিষয়টিকে কিভাবে ব্যক্ত করতে চেয়েছেন।
১. মনোবিজ্ঞান হলো আত্মার বিজ্ঞান (Psychology is the science of soul): দার্শনিক ডেমোক্রিটাস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল প্রমুখের মতে মনোবিজ্ঞান হলো আত্মার বিজ্ঞান।
মনোবিদ Mather এর মতে, "মনোবিজ্ঞান হলো দর্শনের সেই শাখা যা মানুষের আত্মা নিয়ে আলোচনা করে"
২. মনোবিজ্ঞান হলো মনের বিজ্ঞান (Psychology is the science of mind):প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক,মনোবিদ হোল্ডিং, মনোবিদ টিচেনার, ম্যাগডুগাল প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ মনোবিজ্ঞানকে মনের বিদ্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন। মনোবিদ হফডিং বলেছেন, "মনোবিজ্ঞান হলো মনের বিজ্ঞান"
৩. মনোবিজ্ঞান হলো চেতনার বিজ্ঞান (Psychology is the Science of consciousness): মনোবিদ লক,এঞ্জেল, হবস প্রমুখ দার্শনিকগণ মনোবিজ্ঞানকে চেতনা অনুশীলনকারী বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
৪.মনোবিজ্ঞান হলো আচরণের বিজ্ঞান ( Psychology is the Science of behaviour) : ওয়াটসন, ম্যাকডুগান, Woodworth প্রমুখ মনোবিজ্ঞানীগণ মনোবিজ্ঞানকে আচরণের বিজ্ঞান বলে আখ্যায়িত করেছেন।
মনোবিদ ওয়াটসন বলেছেন, " মনোবিজ্ঞান হলো আচরণ সম্পাদকীয়"।
মনোবিদ এল. এন. মান বলেছেন, " মনোবিজ্ঞান আজকের দিনে আচরণের বিজ্ঞান অনুশীলন করে। "
মনোবিজ্ঞানী Woodworth বলেছেন, " মানুষের ক্রিয়া কলাপ অনুশীলন করাই হলো মনোবিদ্যার উদ্দেশ্য "
মনোবিজ্ঞানকে 'বিজ্ঞান 'বলা হয় কেন?
আমরা সাধারণত কোনো গবেষণা ভিত্তিক আলোচনাকেই বিজ্ঞান বলে থাকি। কিন্তু সাইকোলজি কি আসলেই বিজ্ঞান? চলুন জেনে নেয়া যাক, সাইকোলজিকে কেন বিজ্ঞান বলা হয়
বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হলো সুসংবদ্ধ জ্ঞান ( systematic knowledge) আহরণ করা। আমাদের জ্ঞানকে পরিপূর্ণ করার উদ্দেশ্যেই বিজ্ঞানের সৃষ্টি। বিজ্ঞানে যেমন সকল বিষয় পরিক্ষিত, প্রমাণসাপেক্ষ ঠিক তেমনি মনোবিদ্যার বিষয়বস্তুও পরিক্ষিত ও প্রমানসাপেক্ষ। তাই মনোবিদ্যাকে বিজ্ঞান বলা হয়।
মনোবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য
অন্যান্য বিজ্ঞানে যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা হলো পর্যবেক্ষণ ও পরিক্ষণ যা বর্তমানে মনোবিদ্যাতেও ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এসত্ত্বেও মনোবিদ্যার কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে যা তাকে অন্যান্য বস্তুনির্ভর বিজ্ঞান থেকে পৃথক করে রেখেছে। সেই বৈশিষ্ট্যগুলো হলো
১. বিষয়বস্তু
২. পদ্ধতি
৩. দৃষ্টিভঙ্গি
৪. পরিবেশের ওপর গুরুত্ব
৫. পরিমাণ
মনোবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোঃ
১. বিষয়বস্তুঃ মনোবিদ্যার বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হলো তার বিষয়বস্তু। মনোবিদ্যার বিষয়বস্তু হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মানসিক প্রক্রিয়া। কিন্তু অন্যান্য বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হচ্ছে জড়পদার্থ। মনের অস্তিত্ব নিরুপিত হয় ব্যক্তির সত্তার দ্বারা। সুতরাং বিষয়বস্তুর দিক থেকে মনোবিদ্যার একটি নিজস্বতা আছে।
২. পদ্ধতিঃ অধ্যায়নের বিষয়বস্তু ছাড়াও অনুশীলনের পদ্ধতিতেও মনোবিদ্যার একটি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মনোবিদ্যার অনুশীলন ব্যক্তিকেন্দ্রিক। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে নৈবেত্তিক পদ্ধতি ( objective method)ব্যবহার করা হলেও ব্যক্তিনির্ভর বা অন্তর্দর্শন পদ্ধতি এখনো মনোবিদ্যার পক্ষে অপরিহার্য।
৩. দৃষ্টিভঙ্গিঃ মনোবিদ্যার আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে ব্যক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব ( individualism) আরোপ করা। যেকোন বস্তুনির্ভর বিজ্ঞান সবসময় কোন এক বিশেষ শ্রেণির বস্তুর গুণাগুণ বিশ্লেষণ করে। কিন্তু সাইকোলজি প্রত্যেক মানুষকে এককভাবে বিচার করতে সচেষ্ট।
৪. পরিবেশের ওপর গুরুত্বঃ মনোবিদ্যার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবেশভিত্তিক। পরিবেশ থেকে ব্যক্তিকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা যায় না। মানুষের অনুভূতি, চিন্তা, কল্পনা ইত্যাদি সবকিছু নিয়েই গড়ে ওঠে তার ব্যক্তিত্ত্ব। তাই এই সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অনুশীলন করা মনোবিদ্যার উদ্দেশ্য।
৫. পরিমাপঃ আধুনিক সাইকোলজিতে আমরা পরিমাণগত উৎকর্ষের ওপর গুরুত্ব দেখতে পাই। মনোবিজ্ঞানের গুণগত অনুশীলনকে সঠিক সিদ্ধান্তের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মনোবিদগণ পরিমাপের সাহায্য নিয়েছেন।
সর্বোপরি বলা যায়, মনোবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্যগুলোই একে অন্যান্য বিজ্ঞান থেকে পৃথক করে রেখেছে।
সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আমাদের সমাজে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে আমরা একজন সাইকোলজিস্ট (Psychologist) ও একজন সাইকিয়াট্রিস্ট (Psychiatrist) কে এক করে ফেলি বা তাদের কাজের পার্থক্য বুঝতে পারিনা।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এদের পার্থক্য কি।
সাইকোলজি বা মনোবিজ্ঞানের কাজ হলো একজন কোন পরিবেশ বা কোন পরিস্থিতিতে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকে তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া। একজন সাইকোলজিস্ট সাধারণত আপনাকে কোন প্রেসক্রাইব না করে বা কোন ঔষধ প্রদান না করে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে আপনার মানসিক দক্ষতাকে বাড়াবে বা মানসিক যে অশান্তিগুলো আছে সেগুলো সমাধান করবেন।
অপরদিকে একজন সাইকিয়াট্রিস্ট আপনার মানসিক অস্থিরতা দূর করার জন্য ঔষধ দিয়ে থাকেন। মূলত একজন সাইকোলজিস্ট এর সুপারিশেই রোগী সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছে যায়।
মনোবিজ্ঞানের পরিধি
মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলেই এর পরিধি সম্পর্কে জানা যায়।
১.আচরণ
২.মানসিক প্রক্রিয়া
৩.জৈব সামাজিক প্রক্রিয়া
আচরণ: আচরণ হচ্ছে যে কোন কার্যকলাপ যা পর্যবেক্ষণ, পরিমাপ ও লিপিবদ্ধ করা যায়।
মানসিক প্রক্রিয়ায়: মানসিক প্রক্রিয়া বলতে বোঝায় আবেগ, চিন্তন, স্বপ্ন, সম্প্রীতি, প্রেষণা, প্রত্যাখ্যান, বিশ্বাস ইত্যাদিকে।
জৈব সামাজিক প্রক্রিয়া: মানব আচরণ ও কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে জৈবিক ঘটনাবলী ও সামাজিক রীতি নীতির প্রভাবই হচ্ছে জৈব সামাজিক প্রক্রিয়া।
মনোবিজ্ঞানের শাখা সমূহ
সাইকোলজিতে প্রায় ৪৯ টি শাখা রয়েছে। যেমন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা মনোবিজ্ঞান, শিল্প ও সাংগঠনিক মনোবিজ্ঞান, কাউন্সিলিং মনোবিজ্ঞান, সমাজ মনোবিজ্ঞান, শিশু মনোবিজ্ঞান, প্রকৌশল মনোবিজ্ঞান ইত্যাদি। এখন আমরা মনোবিজ্ঞানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শাখা নিয়ে আলোচনা করব।
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য সমূহ
১.বিভিন্ন অভিক্ষা প্রয়োগ করে রোগের মূল্যায়ন করা
২.মানসিক সমস্যাগ্রস্থদের চিকিৎসা করা
৩.রোগীদের পরামর্শ দেয়া
৪.গবেষণায় অংশগ্রহণ করা
৫.স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করা ইত্যাদি
শিক্ষা মনোবিজ্ঞান
শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য
১. শিক্ষার্থীর জীবনে সার্বিক বিকাশ সাধনের সহায়তা করা
২. শিক্ষার্থীর উপযোগী শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করা
৩. শিক্ষা ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা
৪. শিক্ষার কার্যকরী পদ্ধতি অনুসন্ধান, উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করা ইত্যাদি
শিল্প ও সাংগঠনিক মনোবিজ্ঞান
শিল্প ও সাংগঠনিক মনোবিজ্ঞান এর মুল লক্ষ্য
১. কর্মচারীর দক্ষতা ও মনোবল বৃদ্ধি করা
২. কর্মীর সন্তুষ্টি বিধান করা
৩. প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কর্মীদের সম্পর্কে উন্নয়ন করা
৪. কর্মীদের কাউন্সিলিং এর কাজ করা
৫. শিল্পের দূর্ঘটনা হ্রাস করা
৬. মালিক শ্রমিক সম্পর্কের উন্নতি করা
৭. কর্মচারীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংরক্ষণ করা ইত্যাদি
সর্বোপরি বলা যায় সাইকোলজিস্ট এর দক্ষতা আমাদের মানসিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য খুবই উপকারী এবং খুবই জরুরি।আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি এক লক্ষ মানুষের জন্য আমাদের দেশে সাইকোলজিস্ট আছে ০.০০৭ জন।