ডাটাবেজ কি? ডাটাবেজ কত প্রকার ও কি কি? ডাটাবেজ এর কাজ কি?
ডেটাবেজ (Database)
Data শব্দের অর্থ হচ্ছে
উপাত্ত বা Base তথ্য এবং শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘাাঁটি বা সমাবেশ। শাব্দিক অর্থে
ডেটাবেজ হচ্ছে কোনো সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর ব্যাপক উপাত্তের বা তথ্যের সমাবেশ।
সুতরাং ডেটাবেজ বলতে বিপুল পরিমাণ তথ্য মজুদ রাখার ব্যবস্থাকেই বোঝায়। অন্যভাবে
বলা যায়, পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এক বা একাধিক ফাইল বা টেবিল নিয়ে গঠিত হয় ডেটাবেজ।
বিভিন্ন ডেটাবেজ গবেষক
ডেটাবেজকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিম্নে কিছু সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো:
Elamarsi & Navathe
লিখেছেন-
“A database is a collection of related data.” অর্থাৎ সম্পর্কযুক্ত ডেটার সমাবেশই ডেটাবেজ।
CJ Date, লিখেছেন-“A
database consists of some collection of persistent data that is used by the
application systems of some given enterprise.”
ডেটাবেজ ব্যবহারের সুবিধা
১. একই তথ্যের
পুনরাবৃ্ত্তি রোধ করে স্থানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
২. তথ্যের অসামন্জস্যতা
দূর করা। বিচ্ছিন্নভাবে সংরক্ষিত তথ্যে বিভ্রাট বা যৌক্তিক অসামন্জস্যতা থাকতে
পারে। ডেটাবেজ তথ্য সংরক্ষণ করা হলে, তথ্যের যেকোনো ধরনের অসামন্জস্যতা শনাক্ত করা
যায়।
৩. একই সময়ে একাধিক
ব্যবহারকারী অনুরূপ তথ্য নিয়ে কাজ করতে সক্ষম।
৪. তথ্যের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করা। তথ্য নবায়ন করার পর, সংরক্ষণের আগেই যেনো তা মুছে না যায় তা নিশ্চিত
করা।
৫. তথ্যের স্বনির্ভরতা
তৈরি করা। এক ডেটাবেজে তৈরি করা তথ্য অন্য ডেটাবেজে ব্যবহার করা যাবে।
৬. স্বল্পতম সময়ে তথ্য
খুঁজে বের করা। অতি অল্প সময়ে সম্পর্কিত বিষয়ের সকল তথ্য সহজে বের করা যায়।
৭. সহজে ও কম সময়ে
সমস্ত ডেটাবেজ বা তথ্যভান্ডার তৈরি করা।
৮. ডেটা উপস্থাপর করা
সহজ ও দ্রুত হয়।
৯. সংরক্ষিত ডেটাকে
যেকোনো সময়ে আপডেট করা যায়।
১০. অল্প সময়ে ডেটাকে
বিভিন্ন অর্ডারে সাজানো ও বিন্যাস ঘটানো
যায়।
১১. প্রয়োজনীয় সময়ে
অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ডেটা পরিচালনা করা যায়।
ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনা প্রণালীর এলাকাসমূহ
ব্যাংকিং: ক্রেতা,
একাউন্ট, ঋণ ও লেনদেনের তথ্যের জন্য।
বিমান: আসন সংরক্ষণ,
সময়সূচির তথ্য ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য। ব্যবহারকারীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ডেটাবেজ বৈমানিক কাজের উদ্দেশ্য ব্যবহৃত হতো।
বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্র-
ছাত্রীদের তথ্য, কোর্সের নিবন্ধন ও গ্রেড জানার জন্য।
ক্রেডিট কার্ড লেনদেন: ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ক্রয়, লেনদেন ও মাসিক বিবরণী প্রস্তুতের উদ্দেশ্য।
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রকারভেদ (Classification of DBMS)
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। যথা-
১. ক্লায়েন্ট সার্ভার
২. ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ
৩. ওয়েব এনাবল ডেটাবেজ।
ক্লায়েন্ট সার্ভার ডেটাবেজ
ক্লায়েন্ট সার্ভার ডেটাবেজ হলো কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণকারী সার্ভারের সাথে নেটওয়ার্কের সম্পর্কযুক্ত একটি ডেটাবেজ সিস্টেম। মূল ডেটাবেজটি স্থায়ীভাবে সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। দূর দূরান্তে বসে বিভিন্ন ব্যবহারকারী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের অন্তর্ভু্ক্ত হয়ে ডেটাবেজে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে ডেটাবেজ ব্যবহারকারীদের বলা হয় ক্লায়েন্ট/ টার্মিনাল। ক্লায়েন্ট সার্ভার পদ্ধতিতে শুধুমাত্র একটি ডেটাবেজ সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে যাকে ব্যাক এন্ড বলে।
ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলোতে শুধুমাত্র ফর্মস ও রিপোর্ট থাকে যাকে ফ্রন্ট এন্ড বলে। এক্ষেত্রে একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে অথবা ভিন্ন সময়ে ফ্রন্ট এন্ড-এর সাহায্যে ডেটাবেজ সংযোগ এর মাধ্যমে কাজ করতে পারে। ক্লায়েন্ট/ টার্মিনাল সার্ভারের রিসোর্স ব্যবহার করে সার্ভার ক্লায়েন্টকে প্রক্রিয়াকরণের কাজে সহায়তা করতে পারে। ক্লায়েন্ট কোনো সার্ভিস পাওয়ার জন্য সার্ভারে রিকোয়েস্ট পাঠায়; সার্ভার ক্লায়েন্টের অনুরোধ ও অন্যান্য নিয়ম অনুসারে ডেটা কিংবা সার্ভিস প্রদান করে। ক্লায়েন্ট কখনো ডেটাবেজের কোনো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারে না। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডেটাবেজের গঠনগত পরিবর্তন, ইউজারের সংখ্যা ইত্যাদি নির্ধারণ করে থাকে।
একটি ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেলে নিম্নের উপকরণ সমূহ
বিদ্যমান থাকে:
ক্লায়েন্ট:
ক্লায়েন্ট একটি মেশিন ( ওয়ার্ক স্টেশন বা
পিসি) যা ফ্রন্ট-এন্ড অ্যাপ্লিকেশন রান করে। এটি কীবোর্ড, মনিটর ও মাধ্যমে ইউজারের
সহিত সরাসরি কাজ সম্পাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সার্ভার: সার্ভার একটি
মেশিন যা সার্ভার সফটওয়্যার ( যেমন- ওরাকল, এসকিউএল সার্ভার) রান করে ও শেয়ার ডেটা
এক্রেসে প্রয়োজনীয় ফাংশন হ্যান্ডল করে। একটি সার্ভার ব্যাক-এন্ড হিসাবে ভূমিকা
পালন করে।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার সুবিধা
১. নেটওয়ার্কের সমস্ত কম্পিউটার সমন্বিতভাবে কাজ করে বলে সিস্টেমের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
২. কমিউনিকেশন ব্যয় হ্রাস পায়।
৩. ব্যবহারকারীর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৪. সময় কম লাগে।
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ
হলো কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণকারী সার্ভারের সাথে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে
সম্পর্কযু্ক্ত একাধিক ডেটাবেজ সিস্টেম।এই পদ্ধতিতে একটি সেন্ট্রাল সার্ভার (
কেন্দ্রিয় সার্ভার) ও এর অধীনে এক বা একাধিক সাব-সার্ভার ( উপ-সার্ভার) বা
ওয়ার্কস্টেশন থাকতে পারে। সেন্ট্রাল সার্ভারসহ প্রত্যেকটি সাব-সার্ভার/
ওয়ার্কস্টেশনে স্বতন্ত্রভাবে ডেটাবেজ ডেটাবেজ সংশোধন, সম্পাদন প্রভৃতি কাজ করা হয়।
সেন্ট্রাল-সার্ভারে রক্ষিত কেন্দ্রিয় ডেটাবেজ ওয়ার্কস্টেশনগুলোর ডেটাবেজের সর্বশেষ
অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তিত বা আপডেট হয়। সার্ভারের কেন্দ্রিয় ডেটাবেজ সাব-সার্ভার
গুলোর ডেটাবেজের ডেটা পাঠ ও বর্ণনার ভাষা ইত্যাদি পরিবর্তন বা পরিমার্জন করতে
পারে। এভাবে ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ পদ্ধতিতে সার্ভারের কেন্দ্রিয় ডেটাবেজের
মাধ্যমে ওয়ার্কস্টেশনগুলোর ডেটাবেজ থেকে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ, পরিচালনা ও
নিয়ন্ত্রণের কাজ করে থাকে। ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ক্লায়েন্ট
সার্ভার পদ্ধতিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ ওয়ার্কস্টেশনগুলোতে এক বা
একাধিক ক্লায়েন্ট থাকতে পারে।
এখানে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেন্ট্রাল সার্ভারের
সাথে ওয়ার্কস্টেশনের নেটওয়ার্ক কানেকশন না থাকলেও ওয়ার্কস্টেশনের ক্লায়েন্টরা কোনো
রকম অসুবিধা ঝাড়াই কাজ করতে পারে। কারণ সাব-সার্ভার বা ওয়ার্কস্টেশন আলাদা আলাদা
এক একটি ক্লায়েন্ট সার্ভার ডেটাবেজ সিস্টেম আছে। ওয়ার্কস্টেশনের ক্লায়েন্টরা
শুধুমাত্র ওয়ার্কস্টেশনের ডেটাবেজে লগ ইন করে। যখনই সেন্ট্রাল-সার্ভারের সাথে
সাব-সার্ভারের নেটওয়ার্ক কানেকশন পায় তখনেই সাব-সার্ভারের নেটওয়ার্ক কানেকশন পায়
তখনই সাব-সার্ভারের সর্বশেষ অবস্থা অনুযায়ী সেন্ট্রাল-সার্ভার আপডেট হয়।
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ
প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে
১. ডিস্ট্রিবিউশন(Distribution):
মূল ডেটাবেজের সম্পূর্ণ কাজকে বিভিন্ন প্রান্তে/ ওয়ার্কস্টেশনে ডিস্ট্রিবিউশন করা।
২. লজিক্যাল কো-রিলেশন(Logical Co-relation): প্রয়োজনে বিভিন্ন ওয়ার্কস্টেশনগুলো ATM(Asyncronous Transmission Mode) এর মাধ্যমে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারে। এক্ষেত্রে সার্ভার সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করে।
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ এর উপাদান
নেটওয়ার্ক কানেকশন
ম্যানেজার, ট্রানজেকশন ম্যানেজার, কুয়েরি প্রসেসর, রিকভারি ম্যানেজার, সিস্টেম
ক্যাটালগ।
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ এর সুবিধা
১. খুব বেশি চাহিদার ডেটা কাছাকাছি থাকে বিধায় দ্রুত Access করা যায়।
২. প্রত্যেক ইউজার লোকাল ডেটাবেজ কাজ করে বিধায় প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয়।
৩. প্রক্রিয়াকরণ স্বাধীন হওয়ায় কোনো ওয়ার্কস্টেশনের সমস্যা হলেও অন্যান্য ওয়ার্কস্টেশনে কাজের সমস্যা হয় না।
৪. বিশ্বাসযোগ্যতার উন্নতি।
৫. অধিকতর ডেটা প্রাপ্যতা।
৬. কম খরচে যোগাযোগ।
৭. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন।
৮. অধিকতর দক্ষতা বৃদ্ধি।
৯. কাজের সময় হ্রাস পায়।
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ এর অসুবিধাগুলো
১. ডেটাবেজের বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত থাকে বিধায় নিরাপত্তা সমস্যা হয়
২. ওয়েব এনাবল ডেটাবেজের সুবিধা
৩. ভার্চুয়াল কমিউনিটি, রিলেশনাল ডেটাবেজ, তাৎক্ষণিক মতামত।
ওয়েব এনাবল ডেটাবেজ
যে ডেটাবেজ ইন্টারনেটের সংযোগে যেকোনো স্থান থেকে ওয়েব ইন্টারফেসের মাধ্যমে কোনো প্লাটফর্মে দূরবর্তী অবস্থান থেকে Access করা যায় তাকে এনাবল ডেটাবেজ বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে ডেটাবেজে ইন্টারনেট ও ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যগুলো ইন্টারঅ্যাকটিভ উপায়ে Access, কুয়েরি তৈরি, অর্ডার প্রদান, রিপোর্ট ও ট্রাকিং এবং রেকর্ডসমূহকে পরির্তন করা যায় তাকে ওয়েব এনাবল ডেটাবেজ বলে।
ওয়েব এনাবেল ডেটাবেজের মৌলিক উপাদানগুলো হলো-
সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট
কানেকশন, একটি ওয়েব সার্ভার, একটি ফায়ারওয়াল, অ্যাকটিভ অ্যাপলিকেশনটিকে সরবরাহ
করার জন্য ওয়েবপেজ ও সফটওয়্যারসমূহ।
কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব
এনাবল ডেটাবেজ তিনটি টায়ার বা লেয়ারে কাজ করে থাকে। যথা:- ১. প্রেজেন্টেশন লেয়ার,
২. মিডেলওয়ার লেয়ার, ৩. ডেটাবেজ লেয়ার।
বর্তমানে বহুল প্রচলিত ওয়েব এনাবল কিছু ডেটাবেজ সার্ভারের নাম-
ওরাকল, মাইক্রোসফট
এসকিউএল সার্ভার, মাইএসকিউএল ইত্যাদি।
ক্লায়েন্ট সার্ভার ডেটাবেজ
ক্লায়েন্ট সার্ভার
ডেটাবেজ হলো কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণকারী সার্ভারের সাথে নেটওয়ার্কের সম্পর্কযুক্ত
একটি ডেটাবেজ সিস্টেম। মূল ডেটাবেজটি স্থায়ীভাবে সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। দূর ূদূরান্তে
বসে বিভিন্ন ব্যবহারকারী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের অন্তর্ভু্ক্ত হয়ে ডেটাবেজে
প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে ডেটাবেজ ব্যবহারকারীদের বলা হয় ক্লায়েন্ট/ টার্মিনাল।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার সুবিধা
১. নেটওয়ার্কের সমস্ত
কম্পিউটার সমন্বিতভাবে কাজ করে বলে সিস্টেমের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
২. কমিউনিকেশন ব্যয় হ্রাস
পায়।
৩. ব্যবহারকারীর
কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৪. সময় কম লাগে।
৩. ব্যবহারকারীর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৪. সময় ক্লায়েন্ট-সার্ভার ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার সুবিধা।
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ
হলো কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণকারী সার্ভারের সাথে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে
সম্পর্কযু্ক্ত একাধিক ডেটাবেজ সিস্টেম।এই পদ্ধতিতে একটি সেন্ট্রাল সার্ভার (
কেন্দ্রিয় সার্ভার) ও এর অধীনে এক বা একাধিক সাব-সার্ভার ( উপ-সার্ভার) বা
ওয়ার্কস্টেশন থাকতে পারে। সেন্ট্রাল সার্ভারসহ প্রত্যেকটি সাব-সার্ভার/
ওয়ার্কস্টেশনে স্বতন্ত্রভাবে ডেটাবেজ ডেটাবেজ সংশোধন, সম্পাদন প্রভৃতি কাজ করা হয়।
সেন্ট্রাল-সার্ভারে রক্ষিত কেন্দ্রিয় ডেটাবেজ ওয়ার্কস্টেশনগুলোর ডেটাবেজের সর্বশেষ
অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তিত বা আপডেট হয়।
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ এর সুবিধা
১. খুব বেশি চাহিদার ডেটা
কাছাকাছি থাকে বিধায় দ্রুত Access করা যায়।
২. প্রত্যেক ইউজার লোকাল
ডেটাবেজ কাজ করে বিধায় প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয়।
৩. প্রক্রিয়াকরণ স্বাধীন
হওয়ায় কোনো ওয়ার্কস্টেশনের সমস্যা হলেও অন্যান্য ওয়ার্কস্টেশনে কাজের সমস্যা হয়
না।
৪. বিশ্বাসযোগ্যতার
উন্নতি।
৫. অধিকতর ডেটা প্রাপ্যতা।
৬. কম খরচে যোগাযোগ।
৭. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন।
৮. অধিকতর দক্ষতা বৃদ্ধি।
৯. কাজের সময় হ্রাস পায়।
ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ এর অসুবিধাগুলো
১. ডেটাবেজের বিভিন্ন
স্থানে রক্ষিত থাকে বিধায় নিরাপত্তা সমস্যা হয়
২. ওয়েব এনাবল ডেটাবেজের
সুবিধা
৩. ভার্চুয়াল কমিউনিটি,
রিলেশনাল ডেটাবেজ, তাৎক্ষণিক মতামত।
সচরাচর পাওয়া যায় এমন
প্রতিটি ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের চারটি অত্যাবশ্যক উপাদান রয়েছে।
ওয়েব এনাবল ডেটাবেজ
যে ডেটাবেজে ইন্টারনেট
ও ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যগুলো ইন্টারঅ্যাকটিভ উপায়ে Access, কুয়েরি
তৈরি, অর্ডার প্রদান, রিপোর্ট ও ট্রাকিং এবং রেকর্ডসমূহকে পরির্তন করা যায় তাকে
ওয়েব এনাবল ডেটাবেজ বলে।
ওয়েব এনাবল ডেটাবেজ এর সুবিধা
১. প্রথমত, প্রতিটি
ডিবিএমএস এর একটি মডেল রয়েছে যার উপর ভিত্তি করে ডিবিএমএস- এর ডেটাবেজগুলি তৈরি ও
ব্যবহৃত হয়। এটা তথ্য সংরক্ষণের মৌলিক কাঠামো। এ রকম বেশ কিছু গাঠনিক মানদন্ড
রয়েছে যার মধ্যে হায়ারার্কিক্যাল,
নেটওয়ার্ক, রিলেশনাল এবং অবজেক্ট উল্লেখযোগ্য। এই গাঠনিক ব্যবস্থার মাধ্যমেই নির্ধারিত
হয় ডিবিএমএস কীভাবে ডেটাবেজের তথ্য সংগঠন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ করবে।
২. দ্বিতীয়ত, ডেটাবেজের প্রতিটি উপাত্তের কাঠামো বা ডেটা স্ট্রাকচার নির্ধারণ করে ডিবিএমএস। ডেটাবেজে কোনো তথ্য থাকে লেখা, ছবি বা ভিডিও আকারে। এই বিভিন্ন রকমের উপাত্তের বিশুদ্ধতা রক্ষা করে তথ্যকে ব্যবহার করা যায় সুনির্ধারিত ডেটা স্ট্রাকচারের জন্য।
৩. তৃতীয়ত, এসকিউএল হলো ডেটা কুয়েরি ল্যাংগুয়েজ। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী ডেটাবেজ নির্মাণ, তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, অনুসন্ধান ও বিভিন্ন পরিচালনামূলক কাজ করতে পারে। মূলত ডিবিএমএস এর সাথে ব্যবহারকারীর যোগাযোগ স্থাপনকারী ভাষাই হলো ডেটা কুয়েরি ল্যাংগুয়েজ। এই ভাষার ডেটাবেজকে যে কমান্ড দেওয়া হয় তাকে কুয়েরি বলে। প্রতিটি ব্যবহারকারীর অনুমতি না থাকলে সংরক্ষণ, পরিবর্তন, অনুসন্ধান ও বিভিন্ন পরিচালনামূলক কাজে বাধা দেয়। ফলে অনুমতি নেই এমন ব্যবহারকারী তথ্যের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। ফলে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।